আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঘোষিত এই চুক্তি ‘ফিলিস্তিনি ভাই-বোন’ এবং পুরো অঞ্চলের জন্য স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথ উন্মুক্ত করবে।
এরদোয়ান এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে এক বিবৃতিতে বলেন, তুরস্ক ফিলিস্তিনি দের পাশে সব সময়ই ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে। গাজার পুনর্গঠনে সহায়তা করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে তুরস্ক। খবর আনাদোলুর।
তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্ক হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানায় তুরস্ক।’
এরদোয়ান গাজার জনগণের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, আমরা ইসরাইলের অবৈধ ও অমানবিক আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেদের ভূমি ও স্বাধীনতা রক্ষায় বীরত্বপূর্ণ গাজার জনগণকে স্যালুট জানাই’।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তুরস্ক কখনোই তাদের ‘ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের’ নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একা রাখেনি এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে।
এর আগে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সফল করতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার কথা ঘোষণা করেন। এই চুক্তি আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দিষ্টভাবে হামাস যোদ্ধা এবং বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য না করলেও, তারা জানিয়েছে নিহতদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণ ইসরাইলে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ১,২০০ ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা এবং ২৫০ জনকে অপহরণ করে।
ইসরাইলের নিরলস হামলার ফলে গাজার লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়ের জন্য সংগ্রাম করছেন, যার ফলে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়ে উঠেছে।
এদিকে গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চুক্তি ঘোষণার পর থেকে গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে।
এমআই