জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে দুদিন ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ এর মধ্যেই উঠানামা করছিল। তবে আজ তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রির নিচে।
রোববার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯ রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। তবে সকাল থেকেই ঝলমলে রোদে জনজীবনে স্বস্তি দেখা গেছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছিল পঞ্চগড়ে। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি। এর আগে ১০ জানুয়ারি চলতি শীত মৌসুমের প্রথম দফায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি।
শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রাও (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) কমে রেকর্ড করা হয় ২২ ডিগ্রি। দিনভর হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়েছিল। তবে রোববার সকালেই সূর্যের মুখ দেখা যায়। ঝলমলে রোদ ওঠায় দুর্ভোগ কমতে থাকে।
তবে শৈত্যপ্রবাহের ফলে সকালে কাজে নামা কৃষি শ্রমিক, রিকশা ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ কমেনি।
উপজেলা সদরের হাফিজাবাদ ইউনিয়নের জঙ্গলপাড়া গ্রামের ইজিবাইক চালক উসমান গনি বলেন, খুব সকালে আলু নিয়ে পঞ্চগড় বাজারের আড়তে আসি। অটোরিকশায় আসার সময় ঘন কুয়াশা ছিল। বাতাসে কনকনে ঠান্ডার কারণে গাড়ি চালানো যাচ্ছিল না। শীতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। এখন রোদের জন্য ভালো লাগছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়ায় টানা দুই দিন ধরে ১১ থেকে ১৩ মধ্যেই ছিল। রোববার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। এসময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার।
এছাড়াও শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় বলেও তিনি জানান।
সময় জার্নাল/এলআর