নিজস্ব প্রতিবেদক: মা ফাতেমা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা আলম ও বোন শাহানা হানিফের আটটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের প্রতিবাদে ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপসের প্ররোচনায় দুদক আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ‘তাপস তার ব্যর্থতা ঢাকতে বারবার আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে। এখন দুদককে ব্যবহার করে মামলা দিয়েছে’
জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন বলেন, সন্দেহের বশবর্তী হয়ে একজন সম্মানিত মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ণ করা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না। ঢাকার শেষ সর্দার মালেক সর্দারের কন্যা, ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্ত্রী লাঞ্ছিত হবে, এটা ঢাকাবাসী মেনে নেবে না।
আইনি মোকাবিলার পাশাপাশি প্রয়োজনে ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করা হবে বলে জানান সাঈদ খোকন। একই সঙ্গে দুদক তদন্ত করলে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের কোনো আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তাপসকে উদ্দেশ করে সাঈদ খোকন বলেন, কতটুকু ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন এই শহরের মানুষ জানে। ঢাকার মরা লাশের ওপর পর্যন্ত ট্যাক্স বসিয়ে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনটি মেয়র তাপস, আদালত নাকি দুদকের বিরুদ্ধে এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন এটি শুধুমাত্র সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁর প্রতিক্রিয়া।
গতকাল সোমবার (২৮ জুন) ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, মা ফাতেমা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা আলম ও বোন শাহানা হানিফের আটটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) নির্দেশ দিয়েছে বিচারিক আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার এ আদেশটি দেন। দুদকের আদালত পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মামলার অনুসন্ধান চলাকালে দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ রোববার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছে। যে ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার মধ্যে সাঈদ খোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, ‘ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে অস্বাভাবিক ও বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনো বৈধ উৎস থাকা অসম্ভব এবং সন্দেহজনক।
‘তাই অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে যেন অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাংক হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।’
আবেদনে আরো বলা হয়, ‘অভিযুক্তরা ওই ব্যাংক হিসাবের অর্থ স্থানান্তর করতে চেষ্টা করেছেন, যা তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি পর্যন্ত না হওয়া পর্যন্ত এসব অস্থাবর সম্পত্তি স্থানান্তর বা হস্তান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতি হবে।’
সময় জার্নাল/এমআই