নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ এর ১ম জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ আগামী ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। কাউন্সিলকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। কাউন্সিল তারিখ ঘোষণার সাথে সাথে কাউন্সিলরদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন পদপ্রার্থীরা।
সার্বিক বিষয়ে কথা হয় সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সোহেল রানা সম্পদের সঙ্গে, তিনি বলেন-বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ জন্য সৎ ,পরিশ্রমী, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সময় দেয় , নিজের জেলায় কমিটি দিয়েছে এমন যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি ৫ জুলাই এর পরের কর্মী নই, ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। পল্টন থানার সমন্বয়ক এর দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে নিয়মিত রাজপথে ছিলাম। নিজ হাতে লিখে জেলা কমিটি দিয়েছি। সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেছি।
নিজের কাছে আপনি যোগ্য প্রার্থী কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল রানা সম্পদ বলেন, ‘বর্তমানে শ্রমিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী ও ৭কোটি ৩৪ লাখ শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ যেমন ব্যক্তিত্ব খুঁজছেন; আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি যোগ্য।
সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে আপনার পরিকল্পনা কী; জানতে চাইলে তিনি বলেন- এতো দিন আমরা শুধু আন্দোলন ভিত্তিক শ্রমিক রাজনীতিতে ছিলাম , আমরা মাত্র শ্রমিক রাজনীতির ট্রেড ইউনিয়ন জগতে প্রবেশ করেছি। আমরা ১ টি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করেছি আরও ৬৩ জেলায় ৬৩ টি ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের টার্গেট নিয়েছি। তৃণমূলের সহযোগিতায় আগামী ১লা মে এর আগে ৬৩ টি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার টার্গেট নিয়েছি।
প্রকৃত তৃণমূলের শ্রমিক নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিতে চাই। প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে যা করা প্রয়োজন তার সর্বোচ্চটা করতে চাই। নেতৃত্ব নির্বাচনে গত ফ্যাসিস্ট আমালে, দলের দুঃসময়ে যারা কেন্দ্রীয় ও জেলা মহানগর পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলো এখন দলের সুসময়ে তারা আর একবার দায়িত্ব পালন করুক এটা আমি চাই।
সোহেল রানা সম্পদ বলেন- প্রায় ৫ বছরেরও বেশি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। একটা দিন একটা মুহুর্তও দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাইনি। ফেসবুক নেগেটিভ পোস্ট করেছি এমন রেকর্ড নাই। মুদি বিরোধী আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছি। নিজের জীবন বাজি রেখে ২৮ অক্টোবর ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার তান্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি। নিজ নির্বাচনী আসন কুমিল্লা-০২ (হোমনা-মেঘনা) শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে অন্যায়ভাবে পুলিশের হাতে থানায় আটক হয়েছি। গণ অধিকার পরিষদ এর দুঃস্বময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
জানা যায়, কুমিল্লা হোমনা উপজেলায় ফতেরকান্দি গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সমন্বয়ক হিসেবে প্রথম রাজনীতিতে পদবী পান। তারপর যুব অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক দায়িত্ব পালন করেন। তারপর বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে রাখছেন অভাবনীয় ভূমিকা।তিনি বাঁধন(স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন) সরকারি তিতুমীর কলেজ ইউনিটের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন । বাঁধন,ঢাকা সিটি জোনের উপদেষ্টাও ছিলেন।
এমআই