গোলাম আজম খান, কক্সবাজার: টেকনাফে শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় তিন ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
কক্সবাজারস্থ ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক এসপি মো. তারেকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার ভোর রাত ৩ টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা ২৭ নম্বর শরণার্থী ক্যাম্পের সি-৮ ব্লকের নেচার পার্ক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
গুলিবিদ্ধরা হ্ল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া নেচার পার্ক সংলগ্ন এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ (২৫), মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (২১) ও মোহাম্মদ হাসান উল্লাহ (১৫)।
ঘটনার কারণ নিশ্চিত করতে না পারলেও আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পূর্ব শত্রুতা জেরে অথবা ডাকাতি সংঘটন করতে গিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে এসপি তারেকুল বলেন, ভোর রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া নেচার পার্ক সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ীতে ৬/৭ জনের একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমানের বাড়ীর সদস্যদের মারধর করার পাশাপাশি সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ী গুলি ছুড়ে। “ এতে একই পরিবারের ৩ ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ”
এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, “ ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্য এবং টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ”
গুলিবিদ্ধদের বরাতে তারেকুল বলেন, “ টেকনাফের ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ বশরের ছেলে মো. হাসেমুল্লাহ (৩০), মো. নুরু (৩৫) ও আবু তাহের কালু (২৯), গোলাম নবীর ছেলে আব্দুর রহমান ভেজী (৩২), মো. আজিমুল্লাহ (২৮) ও আব্দুর শুক্কুরের নেতৃত্বে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ”
হামলা ঘটনার কারণ এখনো নিশ্চিত হতে না পারলেও তিনি বলেন, “ স্থানীয়রা জানিয়েছে, শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ও রোহিঙ্গা মোহাম্মদ বশরের পরিবারের মধ্যে এক বছর আগে থেকে বিরোধ ছিল। এই পূর্ব শত্রুতার জেরে অথবা ডাকাতি সংঘটন করতে গিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।”
এদিকে ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত এপিবিএন সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তারেকুল।
সময় জার্নাল/এমআই