জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতিবন্ধী কৃষক রানা হামিদের বাগানে লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজান মাসে তিনি প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার লেবু বিক্রির আশা করছেন। তার লেবুর বাগান দেখতে প্রতিদিন অনেকেই ছুটে আসছেন। রানা হামিদের সফলতা দেখে এলাকার বেকার তরুণরাও লেবু চাষ করছেন। রানা উপজেলার প্রতিমা বঙ্কি পূর্ব পাড়া গ্রামের ৫ একর জমিতে লেবুর বাগান করেছেন।
প্রতিবন্ধী রানা এক সময় পরিবারের বোঝা ছিলেন। কাজ খুঁজতে প্রতিদিন সকালে বের হতেন। ঘুরতে ঘুরতে একদিন পার্শ্ববর্তী এলাকায় মুসলিম উদ্দিনের লেবুর বাগান দেখে তার স্বপ্ন জাগে লেবু বাগান করার। পরে তিনি তার গ্রামে প্রথম পর্যায়ে ২ একর জায়গা জুড়ে লেবুর চাষ করেন। প্রথম পর্যায়ে তিনি বেশ ভালো ফলন পান। এরপর থেকে প্রতি বছর তিনি লেবুর আবাদ বাড়াচ্ছেন। রানার বাগানের লেবু সুস্বাদু ও প্রচুর রসযুক্ত হওয়ায় কদরও বেশি।
স্থানীয়রা জানান, সখীপুর উপজেলা পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এ অঞ্চলের লালমাটি ও আবহাওয়া লেবু আবাদের জন্য উপযোগী। এখানকার অনেক চাষিই লেবুচাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এরমধ্যে রানা হামিদ বিশাল এলাকাজুড়ে লেবু চাষ করেছেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই অঞ্চলের উৎপাদিত লেবু বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।
কৃষক বেল্লাল বলেন, রানা হামিদের দেখাদেখি অনেকেই লেবুর চাষ করেছেন। আমি লেবু চাষ করে লাভবান হয়েছি।
লেবুর বাগান দেখতে আসা ইঞ্জিনিয়ার সুজায়েত হোসেন ও আবুল কালাম বলেন, নাম শুনে আমরা রানার বাগানে লেবু দেখতে এসেছি। এই বাগানের মালিক কম দামে লেবু বিক্রি করছেন। তার বাগানের লেবুগুলো অনেক বড়, সুস্বাদু ও রসালো।
কৃষক রানা হামিদ বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে লেবুর চাষ শুরু করি। বর্তমানে প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার লেবু বিক্রি করছি। এবার রমজানে লেবুর ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি এবার রমজান মাসে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার লেবু বিক্রি হবে।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) শোয়েব মাহমুদ বলেন, জেলায় এবার ২ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে লেবুর চাষ হয়েছে। এবার সবচেয়ে বেশি লেবু চাষ হয়েছে দেলদুয়ার, মির্জাপুর, মধুপুর এবং ঘাটাইল উপজেলায়। এ বছর লেবু চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। রমজানে লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে দামও বেশি।
সময় জার্নাল/এলআর