জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
অবশেষে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বাংলাদেশের জন্য অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির কাছ থেকে নেওয়া মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শেষ দুটি কিস্তির অর্থ আগামী জুনে পেতে পারে বাংলাদেশ। ওই মাসেই আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ঋণ প্যাকেজের শেষ দুই কিস্তি অনুমোদন করা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে দফায় দফায় বৈঠকের পর অর্থ ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা শুধু এ সুখবরটি দিতে পারি যে, জুনে ঋণের কিস্তির ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার (১৩০ কোটি ডলার) ছাড় হবে। জুনের (আইএমএফের) বোর্ড সভায় এ অর্থ ছাড় হবে বাংলাদেশের জন্য। বিস্তারিত আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গভর্নর বিস্তারিত জানাবেন বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে আইএমএফ ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে। জুনে বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (৪৭০ কোটি ডলার) ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুটি কিস্তি অনুমোদন করবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থ ছাড়ের জন্য নির্ধারিত থাকলেও সংস্কারের শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা বিলম্বিত হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে এ ঋণ দেওয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। এ হিসাবে ঋণের বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।
গত বছরের ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও নানা শর্তে তা আটকে দেয় আইএমএফ।