নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহের তুলনায় পেঁপে, কাঁচা লঙ্কা, শসা, লাউ, ঝিঙ্গে, বরবটি, বেগুনসহ বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।
তবে মাছ ও মাংসের বাজারে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। বাজারে রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, কাতলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, আর দেশি চাষের পাঙ্গাশ ২০০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে, আর ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি পেলেও মাছ-মাংসের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কিছুটা বাড়ায় সবজির দাম কমেছে, তবে মাছ ও মাংসের বাজারে চাহিদা ও খরচ একই থাকায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকালে যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, রায়েরবাগ, শনিরআখড়ার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। বিক্রেতারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, ফলে দাম কিছুটা স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।
পেঁপে ২৫-৩০ টাকা প্রতি কেজি (আগে ছিল ৩৫-৪০ টাকা), লাউ ৫০-৬০ টাকা প্রতি পিস, বেগুন ৪৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি (আগে ছিল ৬০ টাকা), ঝিঙ্গে/ঢেঁড়শ: ৫০-৫৫ টাকা প্রতি কেজি, বরবটি ৬০ টাকা প্রতি কেজি, টমেটোর কেজি ৪০-৪৫ টাকা, আলুর দাম ৩০ টাকা প্রতি কেজি (দাম অপরিবর্তিত)।
রুই মাছ: ২৮০-৩২০ টাকা প্রতি কেজি, কাতলা মাছ: ৩৫০-৪০০ টাকা, বিদেশি পাঙ্গাশ: ২০০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া/নিলোটিকা: ১৫০-১৮০ টাকা, তবে মুরগির দামে কিছুটা কমেছে।
বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি: ১৭০-১৮০ টাকা প্রতি কেজি, সোনালী মুরগি: ৩২০-৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি: ৫৫০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাংসের দামে কোনো প্রকার পরিবর্তন না থাকায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বেশ চাপে রয়েছে।