মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

শহিদ জিয়ার অবমাননার প্রতিবাদে ইবিতে বিএনপিপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ

সোমবার, জুলাই ১৪, ২০২৫
শহিদ জিয়ার অবমাননার প্রতিবাদে ইবিতে বিএনপিপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ

তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:

মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান এর ছবি অবমাননা ও তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল, জিয়া পরিষদ এবং ইউট্যাব।

সোমবার (১৪ জুলাই) ১১টার সময় তারা এ কর্মসূচি পালন করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে প্রশাসন ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

মিছিলে নেতাকর্মীরা ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো; জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়; দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার; রাজাকার আর স্বৈরাচার মিলেমিশে একাকার; স্বৈরাচার গেছে যেই পথে, রাজাকার যাবে সেই পথে; একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; বাংলাদেশের অপর নাম, জিয়াউর রহমান ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, অধ্যাপক ড. নজিবুল হক, অধ্যাপক ড. আলিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও অধ্যাপক ড. জাকির হুসাইন।

এ ছাড়া ছিলেন জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি আব্দুল মইদ বাবুল এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদসহ বিভিন্ন স্তরের বিএনপিপন্থি শিক্ষক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন “ ৫ ই আগষ্টের পর বিএনপি পরিবারকে নিয়ে যে অপপ্রচারমূলক মন্তব্য করা শুরু হয়েছে বিশেষ করে গালিগালাজ এর যে সংস্কৃতি এগুলোর প্রতিবাদ তেমন একটা করেননি বিএনপির নেতৃবৃন্দ।  মাঝে মাঝে অসহ্য হয়ে গেলে কিছুটা করেছেন। কেনো আমরা এটা এড়িয়ে যাচ্ছি?  কারন হচ্ছে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছে এবং সবাই অধীর আগ্রহী হয়ে বসে আছেন একটা ভোটের জন্য যে তারা ভোট দিয়ে বিএনপি কে জয়যুক্ত করবে। এই ভোটটা যাতে পিছিয়ে না যায়, এই ভোটের অধিকার যাতে নিশ্চিত করা যায় সেজন্য দলের নেতাকর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, সীমাহীন ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন।

বিশেষ করে  ড. ইউনুস যখন তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করলেন তার পর থেকেই একটি মহল প্রচন্ডভাবে উত্তেজিত হয়ে আছে। 

তারা ভাবছে যে সবকিছু তাদের হাতছাড়া হয়ে গেল। 

তিনি বলেন, “এইযে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন, রাষ্ট্রে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন। আমরা জানি যে আপনারা ভাবছেন যে আমরা আপনাদের উস্কানিতে পা দিয়ে আপনাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করব, আর সেই সুযোগে আপনারা নির্বাচন বানচাল করবেন। না সেটা হবে না। আমরা অবশ্যই সকল কাজ বুদ্ধিমত্তার সাথে করব। আমি জাতীয়তাবাদী দলের সকল অংঙ্গনকে অনুরোধ করব আপনারা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ার সকলের বক্তব্যের উত্তর দিবেন। 

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব আপনারা সচেতন থাকবেন যাতে কেউ ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে। বিশেষ করে আমরা শুনেছি দুদিন আগে সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এই হামলার যেনো সুষ্ঠু বিচার হয় এজন্য কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে যা ই হোক না কেন ক্যাম্পাসে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা  সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি। কতৃপক্ষ যদি এগুলা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা এ ব্যাপারে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে বাধ্য হবো”।

এসময়, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, 'আমরা পাঁচ আগস্ট পরবর্তী একটি নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। পতিত হাসিনা সরকার দিল্লি পালিয়ে আছে। এদিকে ৭১-এর মানবতাবিরোধী শক্তি রাজাকার এবং ২৪-এর মানবতাবিরোধী শক্তি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসীদের শক্তির প্রধান হচ্ছে আমাদের নেতা তারেক রহমান। কিন্তু তাকে নিয়ে একটি চক্র ও পাকিস্তানী গোষ্ঠী কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছে।

এছাড়া, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “ সোহাগ হত্যাকান্ডে  জড়িত প্রধান আসামি মঈনকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু মঈনের সঙ্গে আমরা এনসিপির দুইজন নেতার ছবি  দেখতে পাই। তাহলে আমরা কি মনে করতে পারি না, যে এই হত্যাকান্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটনো হয়েছে এবং এর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছে বিএনপির উপরে। শহীদ জিয়াউর রহমান যদি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু না করতেন তাহলে আজকে যারা রাজনীতির নামে এসব করতেছেন তারা কি রাজনীতির সুযোগ পেতেন। তিনিই আপনাদের এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তাকেই আপনারা অপমান করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরো বলেন, আপনারা খুলনার মাহবুব হত্যা নিয়ে কোনো কথা বললেন না, তার হত্যা নিশ্চিত করতে রগ কাটা হয়েছে। আমরা জানি কারা এই রগ কাটার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। আপনাদের উদ্দেশ্য দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বিলম্বিত করা। আমরা ধৈর্য ধরে আছি কিন্তু মাঠে নামলে আপনাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনাদের যে অপকালচার সেটাও বন্ধ করেন।রাজনৈতিক মোকাবেলা করতে চাইলে স্বনামে আসেন সাধারণ ছাত্রের নামে কেন আসছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ কথা ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ তা সহ্য করবে না। এর পরেও যদি আপনার এসব কুরুচিপূর্ণ কথা ও অবমাননা চালিয়ে যান আমরা এর দাঁত ভাঙা জবাব দিবো”।



একে 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল