মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম, গবি প্রতিনিধি:
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ফার্মেসী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. রোজিনা পারুল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১৫তম সিন্ডিকেট অধিবেশনে তাঁকে এ ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
‘Exploration of phytoconstituents and evaluation of bioactivities of Syzygium balsameum and Syzygium formosum’ শীর্ষক গবেষণাকর্মে তিনি জাম জাতীয় এই দুটি প্রজাতির রাসায়নিক উপাদান ও জৈব কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করেন। গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে তার পিএইচডি গবেষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ড. রোজিনা পারুলের শৈশব ও শিক্ষাজীবনের শুরু দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালি থানায়। রাজশাহীর পরজপুর ফাশিলা ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসী বিষয়ে ২০০১ সালে স্নাতক এবং ২০০৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পিএইচডি অর্জনের অনুভূতি জানিয়ে ড. রোজিনা পারুল বলেন, “ছাত্রজীবন থেকেই পিএইচডি করার প্রবল ইচ্ছা ছিল। শিক্ষকতায় আসার পর তা আরও প্রবল হয়। তবে শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা চালিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না। প্রতিটি ধাপে সংগ্রাম করতে হয়েছে। নিজের ইচ্ছাশক্তি ও অধ্যবসায় আমাকে এগিয়ে নিয়েছে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শিক্ষা যেন কেবল চাকরির হাতিয়ার না হয়, তা হতে হবে আত্মনির্মাণ ও মানুষের সেবার পথ। ফার্মেসীকে শুধু পেশা হিসেবে নয়, সেবামূলক কর্মক্ষেত্র হিসেবেও দেখতে হবে। তাই একাডেমিক জ্ঞানকে গভীরভাবে ধারণ করতে হবে।”
নারীদের উচ্চশিক্ষা ও পেশাগত অগ্রযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সমাজে নারীদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় এখনো নানা বাধা রয়েছে। আমিও সে বাধা পেরিয়েই এগিয়েছি। তবে বিশ্বাস করি, সাহস, অধ্যবসায় আর পরিবারের সহায়তা থাকলে মেয়েরা যে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারে। গবেষণাক্ষেত্রে নারীদের সক্রিয় ও গতিশীল ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।”
উল্লেখ্য, ড. রোজিনা পারুল ২০০৭ সালের এপ্রিলে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একে