ইসাহাক আলী, নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে সুবর্ণা (১৮) নামের এক গৃহবধুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় সুবর্ণাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।
বুধবার সকালে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের বিলহরিবাড়ী এলাকায় স্বামী সাগরের বাড়ি থেকে সুবর্ণার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধু তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল গ্রামের মোঃ হাফিজুর রহমানের মেয়ে ও বিলহরিবাড়ী এলাকার মোঃ জামাল মোল্লার ছেলে সাগর আলীর স্ত্রী।
নিহত গৃহবধু সুবর্ণার বাবা হাফিজুর রহমান জানান, দুই বছর আগে বিলহরিবাড়ী এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে সাগর আলীর সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে স্বামী ও তার শশুড় বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করে আসছিলো। বেশ কয়েকদিন আগেও তার মেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে স্বামীর বাড়িতে আর আসতে চায়নি। অনেক বুঝিয়ে তার মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে আবার পাঠান তিনি। হঠাৎ বুধবার ভোরে শশুর বাড়ি এলাকা থেকে তাকে জানানো হয় তার মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছে। গিয়ে তিনি দেখেন তার মেয়ের গলার ডান কাঁধ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং গলায় গুরুত্বর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জামাই সাগর ও তার পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় মেয়ে সুবর্ণাকে গলা টিপে হত্যা করে আত্মহত্যার প্রচারণা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান,সকালে উপজেলার বিলহরিবাড়ি এলাকার সাগর আলীর ঘরের বিছানায় তার স্ত্রী সুবর্নার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই স্বামী সহ ওই বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসাপতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মুল ঘটনা জানা যাবে ।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন মামলা হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সময় জার্নাল/এমআই