ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার অনুষ্ঠানের ডিবি পুলিশ কর্তৃক প্রবেশে বাধা দেওয়ায় দেশের ১৪টি উপজেলা স্টেডিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠান বর্জন করেছে নাটোর জেলা বিএনপি। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। অনুষ্ঠান বয়কট শেষে পরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ। এদিকে এর আগে থেকেই নাটোরের উপজেলা স্টেডিয়ামটি জেলা ছাত্রদলের প্রয়াত নেতা সাইফুজ্জামান সুজনের নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিল জেলা বিএনপি।
আজ শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় নবনির্মিত উপজেলা স্টেডিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরুর পর এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সালে নবনির্মিত উপজেলা স্টেডিয়াম এলাকায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত হন জেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সহসভাপতি সাইফুজ্জামান সুজন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর স্টেডিয়ামটি নির্মাণকালীন জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে স্টেডিয়ামটি সাইফুজ্জামান সুজনের নামে করার দাবি জানানো হয়। চলতি আগস্টের শুরুতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার নাটোরে কর্মসূচি নির্ধারিত হওয়ার পর থেকে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে সাইফুজ্জামান সুজনের নামে স্টেডিয়াম করার দাবি তুলে ধরেন।
আজ শনিবার সকাল ১০.৪৫ মিনিটে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া স্টেডিয়াম উদ্বোধনে উপস্থিত হলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজের নেতৃত্বে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতারা স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে তাঁদের সেখানে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ফিরে যান তাঁরা।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আজকের ঘটনায় চূড়ান্ত অসম্মানিত হয়েছি। আমরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে এসেছি। আমরা কোনো অন্যায় দাবি নিয়ে আসিনি যে উপদেষ্টা সাহেব আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না।’
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আমাদের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমরা নেতা-কর্মীদের নিয়ে এখানে এসেছিলাম স্টেডিয়ামটি আমাদের প্রয়াত কর্মী শহীদ সুজনের নামে নামকরণের প্রস্তাব নিয়ে। অথচ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ আমাদের সেখানে প্রবেশ করতে বাধা দেন।
এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ হাসিবুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। একইভাবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন।
এমআই