জাকারিয়া শেখ ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া মেঠো পথ ধরে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল সহপাঠী বন্ধুরা সহ প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান সাদিক (৮)। এ সময় রাস্তা পার হচ্ছিল একটি সাপ। হঠাৎ সাইকেলের চাকা সাপটির গায়ে উঠে গেলে চালক চিৎকার করে ওঠে ‘সাপ, সাপ’। ভয়ে সাইকেল থেকে লাফ দেয় সাদিক। তখনই সাপটি তার পায়ে কামড় বসায়।
স্থানীয়রা চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে আহত সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্যরা সাপসহ দ্রুত সাদিককে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী গ্রামে। সাদিক স্থানীয় বালাতাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ওই গ্রামের জাইদুল হকের ছেলে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সর্পদংশনে আহত সাদিক চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সাদিকের দাদী জামেনা বেগম বলেন, ‘আমার নাতিকে সাপ দংশনের পর সঙ্গে সঙ্গেই সাপটিসহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ডাক্তার চিকিৎসা দেওয়ার পর এখন অনেকটা সুস্থ। সবাই দোয়া করবেন, যেন সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে।’
পিতা জাহিদুল হক জানান, ‘চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সাদিককে সাপে কেটেছে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় সাপটিকে মেরে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে তার জ্ঞান ফিরেছে। আল্লাহর রহমতে সুস্থতার দিকে রয়েছে।’
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘দংশন করা সাপসহ রোগীকে নিয়ে আসায় দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ আছে। তবে যেহেতু দারাশ বিষধর সাপ, তাই অন্তত তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’
তিনি আরও জানান, পরিবারটি অত্যন্ত সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে। তারা কোনো করিরাজ বা ওঝার কাছে না গিয়ে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন— এজন্য পরিবারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
একে