তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য 'ফ্রেশার্স রিসেপশন-২০২৫' আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসুরুল্লাহ সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফয়েজ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, থিওলজি এন্ড ইসলামীক স্টাডিজ বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আ ন ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, " আমি ভিসি হিসেবে প্রতিটি বিভাগে যাব, প্রতিটি অনুষদে যাব। বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি জায়গা যেখান থেকে তুমি জ্ঞান অর্জন করে বৈশিক উচ্চতায় পৌছাবে। তাই তোমার সময়কে কাজ লাগাতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সময়কে অবহেলিত রাখলে হবেনা। তোমার সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ হতে হবে শিক্ষক, তুৃমি সময় কাটাতে হবে লাইব্রেরি তে। যারা হার্ডওয়ার্ক করতে পারবে না তারা সফল হতে পারবে না। পৃথিবীর সব সফল ব্যক্তিই পরিশ্রমী ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন ভিসি হিসেবে আছি আমার সকল কাজ তোমাদের কেন্দ্র করে হবে। তোমরা যাতে তোমাদের কাঙ্ক্ষিত পড়াশোনা পাও এজন্য আমরা আমাদের সময়কে ব্যয় করব। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাজ তোমাদের জন্য। "
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ফয়েজ উদ্দিন বলেন, "২০১২ সালে ২জন ছাত্র গুম হয়েছে। এটা ছিল গত ১৬ বছরের রাজনৈতিক বাস্তবতা। আমরা দেশকে মুক্ত করতে পারিনি, পেরেছে সামনের বসা শিক্ষার্থীরা। সেজন্য তোমাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তোমরা জীবন বাজি দিয়ে আমাদের স্বাধীন করেছে।
তোমারা পেরেছ দেখে আমাদের তোমাদের প্রতি অনেক চাওয়া। তোমাদের প্রতি তাকিয়ে আছে পুরা দেশ। তোমরা যা দেখিয়ছ এটা সারা বিশ্ব অবাক দৃষ্টিতে তোমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
তিনি বলেন, "শিক্ষকদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ছাত্র-ছাত্রী। ছাত্রদের ভাবনাকে ধারন করাই হলো শিক্ষকের কাজ। তোমরা যাতে পিছিয়ে না পড়ো সে ব্যাপারে আমরা সচেতন। তোমরা বাবা মার কথা চিন্তা করবে। তারা অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সবসময় মায়ের যত্ন নিবে। তোমাদের দায়িত্ব তোমাদের দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি রাষ্ট্রের প্রতি। চারিদিকে অনেক কিছু আকৃষ্ট করবে বাট তোমাদের সেদিকে যাওয়া যাবে না। নিজেদের ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা। শিক্ষক ছাত্র একসাথে জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। তোমরা শিক্ষকদের সাহায্য নিয়ে জ্ঞান সৃষ্টি করবে।
দেশে অনেক ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা আছে। যে মুক্তিযুদ্ধা সেও সুবিধা নিবে, তার ছেলেরাও নিবে আমরা এটার বিরোধিতা করেছিলাম কারন ঐসময় প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা খুজে বের করা কঠিন ছিল। এ ধরণের অনিয়মকে দূর করার জন্য তোমরা অবদান রেখছ। এটা অনস্বীকার্য।"
এমআই