সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুখোমুখি অধ্যাপক পারভেজ: 'এই মুহূর্তে ব্যাংক মার্জারের দিকে যাওয়া ছাড়া কোন পথ নেই'

সোমবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫
মুখোমুখি অধ্যাপক পারভেজ: 'এই মুহূর্তে ব্যাংক মার্জারের দিকে যাওয়া ছাড়া কোন পথ নেই'

সময় জার্নাল প্রতিবেদক:

ডা. ইউনুস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরে অর্জন, সাফল্য-ব্যর্থতা, নির্বাচন, পিআর পদ্ধতিতে বিএনপির সুবিধা, ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু নির্বাচন ও দেশের ব্যাংকিং খাত, অর্থনীতির বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন ভূ-রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ ও এনবিইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ।

আজকে শেষ পর্বে বর্তমান অর্থনীতির জন্য ব্যাংকিং  খাত দায়ী কিনা এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ আছে তারপরও অর্থনীতির ভিত শক্ত হচ্ছে না এসব নিয়ে অধ্যাপক পারভেজের বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো। 

দেশের অর্থনীতির এই দশার জন্য  ব্যাংকিং খাতকে দায়ী করবেন কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, প্রথম কথা হলো ব্যাংকিং খাত নিয়ে বলতে গেলে আপনার লুজ বল ব্যাট করে আমি আউট হয়ে যাব। আমি যেটা বলব বাংলাদেশের আলাদা ব্যাংকিং খাতের যে হাল অবস্থা এটা আমার কারো গুষ্টি উদ্ধার করার প্রয়োজন নাই। পাঁচ ছয়টি ব্যাংকে দশ লাখ টাকা আছে,  বিশ লাখ টাকা আছে। আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার কাছে আসে স্যার আমাকে প্রতিদিন এক হাজার, দুই  হাজার করে টাকা দিচ্ছে। তখন আমি আমার পরিচিতজনকে বলি। তুমি বলো যে তুমি দিনাজপুর থেকে আসছো, রাজশাহী থেকে আসছো। তখন তারা তাদেরকে দশ হাজার টাকা দেয়। ব্যাংকের কী অবস্থা? আমি একটি কথাই বলে দিলাম। পাঁচ থেকে ছয়টি ব্যাংক আমানত দিতে পারতেছে না।

ব্যাংকগুলো মার্জারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মার্জারের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে আমি বলিনা। কিনু মনসুর ভাই গভর্নর মহোদয়ের সাথে আমি একমত। এই মুহূর্তে মার্জার ছাড়া কোন উপায় নাই। এইটা বলার সাথে সাথে আবার এটাও বলতে হবে মার্জার কোন মহৌষধ না। এখন এই অসুস্থ ব্যাংকগুলোকে অন্যান্য ব্যাংক নিয়ে আলিঙ্গন বদ্ধ করলে সবগুলো ব্যাংক অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেইজন্য গভর্নর বার বার বলছে যে, এই সেটেলমেন্ট করতে আমাদের থার্টি ফাইভ কোটি ইনজেক্ট করতে হবে। আবার শুনি বিশ হাজার কোটি টাকা ইনজেক্ট করতে হবে। কারণ ব্যাংক যেগুলো দেউলিয়া হয়েছে। কতগুলো বড় আবার কতগুলো ছোট শব্দ ফুটেছে। সুতারং আমি মনে করি এই মুহূর্তে মার্জারের দিকে যাওয়া ছাড়া কোন পথ নেই।

রেমিট্যান্সের প্রবাহ আছে তারপরও অর্থনীতির ভিত শক্ত হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে অধ্যাপক পারভেজ বলেন, এটা আপনাদের একটা ভুল ধারণা আছে। প্রথম কথা হচ্ছে যে রেমিটেন্স আসতেছে সাগরের ঢেউয়ের মত আসতেছে। বাংলার মানুষ রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। কিন্তু রেমিটেন্সের টাকাটা জনগণের কাছে যাচ্ছে না। আমাদের আগে এত পরিমাণ ঋণ রয়ে গেছে। ওয়ান হান্ড্রেড বিলিয়নের বেশি শুধু চায়নায়। এটাকে আমরা বলি ড্যাপ সার্ভিসিং। রেমিটেন্স যদি না আসতো, আমি হলফ করে বলতে চাই, সরকারকে বাংলাদেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে হতো। এখন ড্যাপ সার্ভিস করতেছে নাম্বার ওয়ান। তারপরে আপনার আমার দেশের জন্য কনজিউমার আইটেম ভোজ্য আইটেমগুলো ইম্পোর্ট বিল করতেছে। আবার প্রতেক তিন মাস পরপর ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে পে করতে হয়। এটা হচ্ছে পেমেন্ট। এটা কখনও কখনও ২.২ বিলিয়ন। প্রফেসর ইউনুস স্যার উনি অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে ওইটা সামলাচ্ছেন। তবে স্যারের বিরুদ্ধে আমার একটা অভিমান আছে। সেটা হচ্ছে যে রেমিটেন্সের কিছু টাকা গরিব মানুষের কাছে সোশ্যাল সেফটি নেট হিসেবে ইনজেক্ট করলে দেশের চেহারাটা আরেকটু ভালো হতো।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল