তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
যৌন হয়রানি, অনাকাঙ্খিত ও অশ্লীল আচরণ, ক্লাস রুমে পোশাক ও শারীরিক গঠন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল মন্তব্য, ভিডিও কলে আপত্তিকর কথা বার্তাসহ নানাবিধ অভিযোগ উঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ইবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ তদন্তে গত ৫ই জুলাই ৪ সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কমিটিকে বিশ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও এর প্রায় তিনগুণ সময় পেরোলেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি কমিটি। গত ৩রা আগস্ট ২০ কার্যদিবসের মেয়াদ শেষ হয়ে আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৭ কার্যদিবস পেরিয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নাজিমুদ্দিন বলেন, তদন্ত কমিটির কয়েকজন সদস্য বাইরে থাকায় প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখানে আরও একটি তদন্তনাধীন বিষয়ে কাজ চলমান থাকায় পূজার ছুটি শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। এই তদন্তগুলোর ব্যাপারে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আছে সেটি মেইনটেইন করেই করতে হচ্ছে এবং সবগুলো বিষয়কে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষন করতে হচ্ছে, সে কারণেই একটু দেরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম হবেনা বলে নিশ্চিত করছি। সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমরা নিয়েছি, এখন অভিযুক্ত ব্যক্তি থেকে আমাদের শুনতে হবে। তাছাড়া বিভাগেরও কিছু বিষয় এখানে রয়েছে। এগুলো করতে ৬-৭ কর্মদিবস আমাদের লাগবে। আশা করছি, ক্যাম্পাস খোলার পরই আমরা রিপোর্ট জমা দিয়ে দিতে পারবো।
প্রসঙ্গত, গত ২২জুন যৌন হয়রানি, ছাত্রীদের ইমোতে ভিডিও কল দেওয়া, কুরুচিপূর্ণ মেসেজ প্রদান, নম্বর কম দেওয়া, রুমে ডাকা, বাজে ইঙ্গিত, কটূক্তি, বডি শেমিং ও বিবাহিত ছাত্রীদের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের উপকারিতা বোঝানোসহ নানা অভিযোগ উল্লেখ করে বিভাগটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন প্রায় ডজন খানেক শিক্ষার্থী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৮ জুন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে তাকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় বিভাগটি।
এমআই