খালেদ হোসেন টাপু , রামু প্রতিনিধি:
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিশিষ্ট রাজনীতিক, রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বুধবার, ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ওবাইদুল হক রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া পাড়া গ্রামের সফুরত আলম মুন্সীর ছেলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ছেলে ফয়সাল ওবাইদ রুমেল, মেয়ে মুনতাহা ওবাইদ মুনমুন, স্ত্রী ফখরুন নাহার হীরাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
বৃহষ্পতিবার, ২ অক্টোবর বেলা আড়াইটায় রামুর পশ্চিম মেরংলায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
ওবাইদুল হক রামুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন এবং ১৯৮৪ সালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি ১৯৬৮ সালে রামু উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ১৯৭২ সালে জাসদ এর সভাপতি, রামু উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) রামু উপজেলা সভাপতি, রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, পশ্চিম মেরংলোয়া মুন্সীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ওবাইদুল হক রামু উপজেলা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক নানামুখি কর্মকান্ডের মাধ্যমে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।
রামুর সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ওবাইদুল হকের মৃত্যুর খবরে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। রাতে মরদেহ রামু শ্রীধন পাড়াস্থ বাড়িতে নিয়ে আসা হলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাঁকে একনজর দেখার জন্য ছুটে যান।
রামু প্রেস ক্লাব, এসএসসি ৯৫ ব্যাচের সংগঠন প্রজন্ম’৯৫সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিক্ষা, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাবেক চেয়ারম্যান ওবাইদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
একে