তালুকদার হাম্মাদ, ইবি প্রতিনিধি:
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চলতি সপ্তাহেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চালু হচ্ছে ই পেমেন্ট সিস্টেম।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও ইসলামী ব্যাংক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ও জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী ও সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. শরিফল ইসলাম, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইনচার্জ এ.এন.এম তাওহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ ব্রাঞ্চের প্রধান এম রুহুল আমিন, শেখপাড়া বাজার সাব-ব্রাঞ্চের ইনচার্জ মোহাম্মদ রবিউল, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদসহ অন্যরা।
জানা যায়, এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে অগ্রণী ব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের যৌথ উদ্যোগে ই-পেমেন্ট সিস্টেম সেবা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু টেকনিক্যাল সমস্যা ও সমন্বয়হীনতার কারণে সেবাটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২৪ এর গনঅভ্যুত্থান পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমেন্ট সিস্টেম পুনরায় ডিজিটাল করার দাবি জানাতে থাকে শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা। তারই প্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংকের অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ইনচার্জ এ.এন.এম তাওহিদুল ইসলাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার ফি প্রদানের প্রক্রিয়াকে সহজ ও আধুনিক করতে একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ফ্রি অফ কস্টে দেশের যেকোনো জায়গা থেকে পেমেন্ট সুবিধা নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ অটোমেশন ও ডিজিটাল সেবার আওতায় আনতে ইতোমধ্যে এটিএম, সিআরুএম ও বাংলা কিউআর কোডসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালুর প্রস্তুতি চলছে।'
উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এবং সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা শেষে তারা এক সপ্তাহের মধ্যেই পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করবেন। এ সংক্রান্ত ব্যাংকের যাবতীয় ফি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসান বাহন করে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সুবিধা দেয়া হবে। এটি আমাদের জন্য বড় সাফল্য এবং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে।'
এমআই