এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
৭ নভেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একপর্যায়ে সংঘর্ষ ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে ফরিদপুর ১ আসনে দুই মনোনয়ন প্রার্থীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভক্তি চলে আসছিল।
এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ফরিদপুর ১ আসনের সাবেক বিএনপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু।
শুক্রবার বিকালে উভয়পক্ষ ফরিদপুরের বোয়ালমারী বাজারে পৃথকভাবে ৭ নভেম্বর পালনকে উদ্দেশ্য করে কর্মসূচি আহ্বান করে।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হচ্ছিলো। উভয় পক্ষের শত শত মানুষ যাওয়া আসা কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উবার পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষের শতশত মানুষ লাঠিসোটা ইট পাটকেল নিয়ে বোয়ালমারী বাজারের ওয়াবদা এলাকায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিতদের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশেপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০ টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত আট থেকে দশটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় এক ঘন্টা সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চলে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে আসলে বিক্ষুব্ধদের মুখে পড়ে ফিরে যায়।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি।
এমআই