বুধবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৫
মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা কোনো দল বা কারও বিরুদ্ধে নই, কিন্তু যারা দূর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা চাই- উদারতার, সহনশীলতার ও মানুষের কল্যানের রাজনীতি। এ জন্য আগামী দিনে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাবিক আমাদের প্রয়োজন। যারা দেশকে সততার সাথে, দক্ষতার সাথে, দেশকে ভালোবেসে দূর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে। দেশের সকল ছাত্র-জনতা এমন নেতার পাশে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৫)
দিনাজপুর ইন্সটিটিউট মাঠে দিনাজপুর-৩ উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে ছাত্র-যুব-নাগরিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে শিবির সভাপতি এসব কথা বলেন। শিবির সভাপতি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তারপরে যে দল নিজেদেরকে স্বাধীনতার কর্তৃত্ববাদী মনে করে-সে দলের হাতেই বাংলাদেশের সকল দলকে নিষিদ্ধ করে বাকশাল কয়েম করা হয়েছিল। তারা রক্ষীবাহিনী গঠন করে তাদের বিরোধীতাকারী এবং দেশের পক্ষে কথা বলা লোকদের হত্যা করেছিল। তারা লুটপাট করে আমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশটাকে এমন পর্যায়ে পাঠিয়েছিল, যার কারণে ১৯৭৪ সালে দূর্ভিক্ষের কবলে পড়ে দেশ। সেই দলটিই গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে লাশের উপর পৈশাচিক কায়দায় নৃত্য করেছিল। ক্ষমতায় এসে পিলখানা ট্রাজেডির নামে আমাদের দেশের চৌকষ সেনা অফিসারদের খুনী হাসিনা হত্যা করেছিল। শাপলা চত্ত্বরে রাতের অন্ধকারে ইবাদতরত আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, যারা এই সরকারের বিরোধিতা করতো, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো, তাদেরকে গুম-খুন-আয়নাঘরে নিয়ে নানানভাবে রিমান্ডের নামে চরম নির্যাতন করেছিল। এ অবস্থা যখন চলছিল, তখন ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টের গণআন্দোলনে বৈষম্য-দূর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একসাথে জেগে উঠেছিল দেশের ছাত্র-জনতা। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় খুনী হাসিনার পতন তরান্বিত হয়। খুনী হাসিনা পালিয়ে ভারতে যেতে বাধ্য হয়। এখনও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কোনোদিন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারবে না।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী এ্যাড. মাঈনুল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ রাকসু ভিপি ও রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
দিনাজপুর সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মেহরাব আলীর সভাপতিত্বে ও দিনাজপুর শহর জামায়াতের আমীর সিরাজুস সালেহীন ও সেক্রেটারী কামরুল হাসান রাসেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা মুজিবুর রহমান, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা নুরুল্লাহ সরকার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা (উত্তর) এর সেক্রেটারি মুফতি খায়রুজ্জামান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জোবায়ের সাঈদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের দিনাজপুর জেলা সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার জেলা সভাপতি বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইমরুল কায়েস রুপম, দিনাজপুর শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী মাসুদ রানা প্রমুখ।
এমআই