আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিরিয়ার পালমিরায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক হামলায় দুইজন মার্কিন সেনা সদস্য এবং একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। তারা সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সহায়তা করছিলেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, হামলাকারীকে মিত্র বাহিনী হত্যা করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে আহত মার্কিন সেনারা ভালো আছেন।
তবে তিনি এটিকে আইএসআইএল (আইএসআইএস) হামলা হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করেন যে এর জন্য গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ট্রাম্প লিখেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এবং সিরিয়ার একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এলাকায় সংঘটিত একটি আইএসআইএস হামলা।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এই হামলায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও বিচলিত। এর জবাবে অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, এটা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হোক, যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্য করেন, তবে আপনার বাকি সংক্ষিপ্ত ও উদ্বিগ্ন জীবন কাটবে এই জেনে যে যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।
শনিবারের এই হামলার খবর প্রথম জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড, যা সেন্টকম নামেও পরিচিত।
তারা এই হামলাকে একজন একক আইএসআইএল বন্দুকধারীর চালানো একটি অ্যামবুশ বা অতর্কিত হামলা হিসেবে বর্ণনা করে এবং জানায়, পরবর্তীতে হামলাকারীকে মোকাবিলা করে হত্যা করা হয়। পরে হেগসেথ নিশ্চিত করেন যে অপরাধীকে মিত্র বাহিনী হত্যা করেছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল জানান, হামলাটি সিরিয়ার কেন্দ্রীয় হোমস অঞ্চলের পালমিরার কাছে সংঘটিত হয়।
তিনি এক বিবৃতিতে লেখেন, সৈন্যরা যখন একটি গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে বৈঠক পরিচালনা করছিলেন, তখনই এই হামলা ঘটে। তাদের মিশন ছিল ওই অঞ্চলে চলমান আইএসআইএস-বিরোধী ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সহায়তা প্রদান করা।
একে