দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী-নালা ও সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমিসহ রাস্তা ঘাট, বসত বাড়ি। সরকারী রাস্তা নির্মাণ করার কথা বলে এবং প্রশাসনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ড্রেজার মালিকরা প্রায় ২ বছর ধরে বালু উত্তোলন করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
কান্দি গ্রামের ড্রেজার মালিক সজল রায় ও উজ্জ্বল রায়, নাগরার আবু সাইদ, আমবাড়ীর জাহিদুল ইসলাম মোল্যা, পিঞ্জুরীর শামীম তালুকদার ও বাবু তালুকদার, বড় দক্ষিণপাড়ের ইমরান শেখ, বানারজোড়ের আনিস হাওলাদার, আশুতিয়ার কাজল শেখ, তাড়াইলের বিধান বিশ্বাসসহ অনেকে বলেন, আমাদের ড্রেজার মালিকদের সমিতি আছে, প্রতি মাসে চাঁদা দেই ৫ শত টাকা, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সমিতিতে ভর্তি হই, এই দিয়ে সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ
প্রশাসন ম্যানেজ করে।
রাধাগঞ্জ ইউপি সদস্য কাকন মৃধা ৪টি ড্রেজার চালায় কুঞ্জুবনে। বান্ধাবাড়ি ইউপি সদস্য মুকুল হাওলাদার, কুশলা ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ শেখ, হিরন ইউপি সদস্য আবু মুসা, রাধাগঞ্জ ইউপি সদস্য মহানন্দসহ অনেকেই রাস্তার কাজ দেখিয়ে দেড় শতাধিক ড্রেজার চালাচ্ছে।
যার ফলে কোটালীপাড়ার বিভিন্ন নদী, খালে, বিলে এবং রাস্তা-ঘাটে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে জীব বৈচিত্রের উপরও প্রভাব পড়ছে। গরীব কৃষক আপন বালা, অনুপম ভক্ত, জাহিদ শেখ, রবিউল আলম, রাজীব মন্ডল, ইসকান্দার মোল্যাসহ অনেকেই বলেন, জনগনের কথা তোয়াক্কা না করে বছরকে বছর তারা বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে। আমরা চাই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হোক।
কোটালিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিমল বিশ্বাস জানান, প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে কেজ খাস, সরকারী জমি থেকে বালু উত্তোলন করলে তাদেরকে বাঁধা দেওয়া হয়। এমনকি জেল, জরিমানার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের খেয়াল আছে।
কোটালিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, খাস ও সরকারি জমি থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলার বিভিন্ন ড্রেজার মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এমআই