ইসাহাক আলী, নাটোর: নাটোরে ইউনিয়ন পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদানের প্রথম দিনেই অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩টি করে ওয়ার্ডে ৬শ জনকে ভ্যাকসিন প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে দেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র একটি ওয়ার্ডেরই ৬শ জনকে। এতে করে বাকি ২ ওয়ার্ডের মানুষ টিকা থেকে বঞ্চিত হবেন। এছাড়া ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের তাৎক্ষনিক সেবা দিতে কোন চিকিৎসকের ব্যবস্থায় নেই কেন্দ্রগুলোতে।
সকালে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিব্দুরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল
ইসলাম শিমুল।
এ সময় জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী মোছাঃ আফরোজা খাতুন, সিভিল সার্জন ডা মিজানুর রহমান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান।
এ সময় ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্র্ডের ৬শ জনকে ভ্যাকসিন না দিয়ে শুধু মাত্র ১ নং ওয়ার্ডেরই ৬ শ জনকে টিকা দেয়ার বিষয়টি সংবাদকর্মিরা নজরে আনলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ। একই সাথে সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য, শফিকুল ইসলাম শিমুল।
তবে বাস্তবে ওই কেন্দ্রে অন্য কোন ওয়ার্ডের কাউকে দেখা যায়নি।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ মোসাদ্দেকুর রহমান খান বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। তবে বাকি দুই ওয়ার্ডের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তারা আসবেন কিভাবে সে ব্যাপারে কোন সদুত্তর নেই তাদের কাছে।
এদিকে গ্রাম পর্যায়ে টিকা নিতে পেরে সেবা গ্রহীতা সন্তুষ্ট হলেও সবাইকে মোবাইল সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল
শুধুমাত্র এন আইডি কার্ড আনলেই হবে। এতে অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে ভ্যাকসিন ছাড়াই বাড়ি ফিরেছেন।
এছাড়া দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থেকে কদভানু নামে এক বৃদ্ধা অসুস্থ্য হলেও তাকে চিকিৎসা ছাড়াই বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। জরুরী স্বাস্থ্য সেবা দিতে কোন চিকিৎসকের ব্যবস্থা নেই সেখানে ।
জেলায় ৩১ হাজার ২শ জনকে দুই ডোজ করে মোট ৬২ হাজার ৪০০ জন পাবেন ভ্যাকসিন। তবে পর্যায়ক্রমে সকলেই পাবেন ভ্যাকসিন।
সময় জার্নাল/এমআই