ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন :
টিকার পক্ষে দেশের ম্যাক্সিমাম সিনিয়র বিজ্ঞানী, প্রফেসর এবং প্রবাসী অনেক প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী সোচ্চার ছিলেন। মাইক্রোবায়োলজি ফোরামে তাদেরকে নিয়ে ওয়েবিনিয়ার, টিভিতে এতে বক্তব্য দিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজির সিনিয়ররা। দেশের সাধারন লোকরা তো হুজুগে চলে। তাদের দোষ দেয়া যায় না।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে তাদের টিকা তৈরীর বিষয়ে আমরা কয়েকজন অভিজ্ঞতার আলোকে পজিটিভ ফিডব্যাক দিয়েছি। প্রবাস থেকেও কেউ কেউ ফেসবুকে লিখেছেন।
১। যারা সমালোচনা করেছেন তাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই। এটা চরম মিথ্যা কথা কেননা না জেনে পুরো জনগণের বিরুদ্ধে যাওয়ার মাধ্যমে কেউ তার অর্জিত সন্মান হারাতে চাইবে না। নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আছে। অন্যদিকে
Reza Karim বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে বায়োলজিক্স টিম পরিচালনা করেছেন। এখন রেগুলেটরি বিষয়ে কাজ করেন। অন্যদিকে যশোর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার ( প্রফেসর আনোয়ার হোসেন) এনিমেল ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা অভিজ্ঞাত ছিল। আমেরিকার প্রবাসী NIH এর দুজন গবেষক ছিলেন যারা ইমিউনোলজিস্ট।
২। হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে তাদের টিকা নিয়ে ফিডব্যাক দিয়েছেন। তাদের
#অনেকেই_নাকি গ্লোবের টিমে যোগ দিয়েছে যা প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এটা চরম মিথ্যা কথা।
পৃথিবীর ইতিহাসে এভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে টিকা তৈরী এবং অনুমোদনের সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করার নজির নেই। আশা করি সরকার এই ভুল করবে না। বিজ্ঞানের কাছে ইমোশনের স্থান নেই।
কোয়ালিটিতে কোনক্রমেই ছাড় দেয়া যাবে না কেননা এতে এক সাথে মিলিয়ন মিলিয়ন সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
একজন সচেতন গবেষক হিসেবে ফিডব্যাক দিলাম অন্তত বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকার জন্য।
.
.
Disclaimer: This opinion does not represent any organization
লেখক : গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।