আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান। তাদের এই দাবি সত্য হলে তা হবে আফগান ভূখণ্ডে মিলিশিয়াদের বড় ধরনের জয়। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কান্দাহার শহরটি একসময় তালেবানের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এছাড়া দেশের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে শহরটির কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেশি। কান্দাহারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের একাধিক প্রাদেশিক রাজধানী শহর নিজেদের দখলে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।
তালেবানের মুখপাত্রও জানিয়েছেন যে, ‘কান্দাহার পুরোপুরি দখলে নেওয়া হয়েছে।’ তবে এই দাবির ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।
এর আগে বৃহস্পতিবার কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরেক শহর গজনির পর তৃতীয় বৃহত্তম আফগান শহর হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে হেরাতের গভর্নরের অফিস ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার তালেবানের দখলে চলে যায় বলে জানান আফগান কর্মকর্তারা।
এছাড়া উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বাদগিস প্রদেশের রাজধানী কালা-ই-নাও শহর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যায়। বাদগিসের প্রাদেশিক পরিষদের একজন সদস্য সিএনএনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হামলার মুখে আফগান বাহিনী সেনাক্যাম্প থেকে সেসময় পালিয়ে যায়।
তালেবান খুব দ্রুত গতিতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকা দখল করে নিচ্ছে। গ্রামীণ এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এখন বড় বড় শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্রগুলো দখল করছে তালেবান। এতে করে দেশটি মারাত্মক এক নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েছে।
তালেবান বিদ্রোহীদের দ্রুত অগ্রগতির মুখে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়ালি মোহাম্মদ আহমদজাইকে অপরসারণ করেছে আফগান সরকার। তার স্থলে নতুন আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দেশটির প্রধান শহরগুলোর ভাগ্য নিয়ে ভীষণ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। উভয়পক্ষ এসব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সরকারি সেনারা কতদিন নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবে সেটাই বড় প্রশ্ন। স্থানীয়রাও বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন।
এমআই