লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান মাঝে মধ্যে তার দফতরে উপস্থিত থাকেন। এতে ওই দফতরে আসা সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, নিজের খেয়াল খুশিমতো অফিস করেন তিনি, সময়মতো সারেন কাজকর্ম। অফিস না করে লক্ষ্মীপুর সদরের সোনাপুর গ্রামের বাড়ি ও রামগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতেই বেশি সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গেল বছরের ডিসেম্বরে আশিকুর রহমান কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে কমলনগর উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের উপ-সহকারি প্রকৌশলীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। মন চাইলে তিনি মাঝেমধ্যে আসেন, তাও কিছু সময়ের জন্য। অফিসের স্টাফ বা কেউ কোন সেবার তথ্য জানতে চাইলে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন।
চরজাঙ্গালিয়া ও তোরাবগঞ্জ এলাকার কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা আশিকুর রহমানের অফিসে কয়েকদিন গিয়েও পাননি। ফোন করলেও সাড়া মেলে না। এছাড়া উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওয়েব পোর্টালেও সাবেক প্রকৌশলী পানেদা আক্তারের মোবাইল নাম্বার দেয়া রয়েছে।
চর কাদিরা ইউনিয়নের চরবসু গ্রাম থেকে সেবা নিতে আসা ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি ৪ দিন এসেও জনস্বাস্থ্যের অফিসারের দেখা পায়নি। তিনি কবে অফিসে করবেন, স্টাফরাও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি। পুকুরের পানি খেলেও তিনি আর গভীর নলকূপের জন্য এ অফিসে আসবেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে সোমবার আশিকুর রহমান বলেন, আমি জেলা শহরে আছি। জেলা অফিসে কোন কাজ থাকলে কমলনগরে কম যাওয়া হয়। তা না হলে প্রতিদিনই আমি
অফিস করি।
এ ব্যাপারে ইউএনও মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমার কার্যালয়ের সংস্কার কাজ চলছে। এজন্য আমি আশিকুর রহমানের কার্যালয়ের একটি কক্ষে বসি। কিন্তু উনি
কার্যালয়ে থাকেন কিনা আমি লক্ষ্য করি না। আর এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ না করলেও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
সময় জার্নাল/এমআই