সময় জার্নাল প্রতিবেদক : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার (১৫ আগস্ট) জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জানিপপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।
ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাজার বছর পিছিয়ে গেছে। এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গণে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো। রাজনৈতিক সংস্কৃতি কুলষিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশে উন্নয়নের গতি থমকে গিয়েছিলো। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নকরণে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি আবারও সচল করেছেন।
আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন গোলাম মুর্শেদ। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৭৫ এর প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাবুদ। তিনি বলেন, ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর সুগঠিতভাবে কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। তৎকালীন তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশ প্রধান প্রতিরোধ গড়ে না তুলে বরং আত্মসমর্পণের পথ বেঁচে নেন। যা ছিলো অত্যন্ত দুঃখজনক। এ হত্যাকাণ্ডে যারা মদদ দিয়েছে তাদের বিচারের জন্য অনতিবিলম্বে একটি কমিশন গঠনের জোর দাবি জানান।
আব্দুল মাবুদ ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ঐ সময় আমরা কয়েকজন বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিরোধ করলেও সেটা সার্বিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে জাতি দীর্ঘদিন দুঃশাসনের কবলে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনি ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদকে আমি গ্রেফতার করলেও তৎকালীন প্রশাসন তাকে ছেড়ে দিয়ে বরং আমাকে গ্রেফতার করে বগুড়ার সেনানিবাসে নিয়ে যায়। বক্তব্য শেষে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করার পাশাপাশি সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিউল ইসলাম জীবন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন শুধু দিবস ভিত্তিক না রেখে আমাদের কাজে কর্মে তা প্রদর্শন করতে হবে। পরবর্তীতে তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণের এক বিশ্লেষণধর্মী বর্ণনা তুলে ধরেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান বঙ্গবন্ধুর শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন অবদান তুলে ধরেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববরেণ্য নেতা বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
ইউএন ডিজএবিলিটি চ্যাম্পিয়র আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ব নেতা ও দার্শনিক। তাঁর চিন্তায় ও ভাবনায় মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সবমসয় প্রতিফলিত হয়েছে।
জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার, লেখক ও গবেষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু এ আন্দোলনের মাধ্যমে গণমানুষের সমর্থন লাভ করেছিলেন।
গবেষক এহতেরামুল হক ৭৫ এ নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি খুনী এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবি করেন।
জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার মো. শরিফুল ইসলাম ভূঞা বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার শামসুন্নাহার লাভলী, আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল, মো. খাদেমুল ইসলাম, মো. সোহেল রানা, শেখ আল আমিন, এস এম জুয়েল আহমেদ, জেনিফার ফেরদৌস এবং উন্নয়নকর্মী মো. জাকির হোসেন।
আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার আফসানা সনি, মেহজাবীন ইলাহী, এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমা আক্তার।
সময় জার্নাল/এসএ