তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা হয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের নামে। গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী শফিক তুহিনের করা এ মামলায় ৫ জুন দিবাগত রাতে সিআইডির একটি বিশেষ দল রাজধানীর মগবাজার থেকে আসিফকে গ্রেফতার করে। ৬ জুন তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে, জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে আসিফ আকবরের স্ত্রী সালমা আসিফ জানিয়েছেন, আসিফ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। ৫ জুন রাত থেকে তিনি ঔষধ ছাড়াই কারাগারে রয়েছেন, যেকোনো সময় রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন তিনি। ৭ জুন বুধবার, আসিফের আইনজীবীরা আদালতে এ সংক্রান্ত একটি চিকিৎসা সনদ পেশ করেন।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন আসিফ আকবর সুস্থই রয়েছেন। আসিফকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে একই কামরায় রাখা হয়েছে এবং তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর কবির।
গত ২ জুন রাতে শফিক তুহিন নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়ে একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে আসিফ অশালীন মন্তব্য করেন ও তাকে হুমকি দেন। ৩ জুন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসেও আসিফ অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। এসব বিবেচনায় এই শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আসিফ আকবর ২০০১ সালে প্রকাশিত তার প্রথম গানের অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’-এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরপর ছয় বছর অ্যালবাম বিক্রির দিক থেকে শীর্ষে ছিলেন আসিফ। তার প্রথম অ্যালবাম ৫৫ লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল, যা অডিও ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
প্রিয় বিনোদন/গোরা