নিজস্ব প্রতিবেদক।সময় জার্নাল : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একদিনে রেকর্ড ৭৬ শিশু ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ৬৯ শিশু হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সফি আহমেদ জানান, বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। ওই বছর একদিনে সর্বোচ্চ ৬৯ শিশু হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এ বছর সেই রেকর্ড ভেঙ্গে একদিনে রেকর্ড ৭৬ শিশু ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে। এর মধ্যে ১০ শিশু আইসিইউতে আছে।
তিনি জানান, ডেঙ্গু বাসায় থাকা এডিস মশার কামড়ে হয়। নগরীর চার পাশের ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকা, নোংরা ড্রেন পরিষ্কার না করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে মশার প্রজনন বেড়ে গেছে। অথচ নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এবং মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করলেই মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের মানুষ এমনিতেই দিশেহারা। এমন পরিস্থিতিতে নতুন মহাবিপদ ডেঙ্গু। বুধবার (১৮ আগস্ট) নাগাদ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এ বছর চিকিৎসা নেওয়া ৬ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ৭৩৩ জন।
বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। সেই বছর আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ালেও ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা কম ছিল। গত বছর ১ হাজার ৪০৫ জন রোগী হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গুর যে পরিস্থিতি তাতে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি নয়, কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের। আমরা মনে করি, এ বিষয় নিয়ে সম্মিলিতভাবে সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগ যেভাবে কাজ করছে, এই কাজের গতি বাড়িয়ে দিলে খুব সহজেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব।’
সময় জার্নাল/আরইউ