আমার জন্য অপেক্ষা করার মতো
সময় তোমার কখনোই ছিলো না!
অথচ রেইমন্ডে স্যুট বানাতে দিয়ে
দিব্যি অপেক্ষা করতে পারো
গুণে গুণে দুই সপ্তাহ!
আমার জন্যে অপেক্ষা করার মতো
সময় তোমার কখনোই ছিলো না!
হেয়ার কাট স্যালুনে বসে নাকি
অপেক্ষা করো ঠিকই ঘন্টার পর ঘন্টা!
এপ্রিলের কৃষ্ণচূড়া, জারুলেরা ফোটে আর ঝরে-
কখনো দু'হাত ধরে বলোনি- "চলো ফুল কুড়াই!"
দু'হাত ভরে শুধু সময় জমালে,
বুক পকেটে আমার প্রেমের চিঠি নিয়ে
হন্যে হয়ে ছুটলে অপ্রেমের পিছনে!
গেলো বছর, মনে পড়ে?
বাসন্তী এক ডুরে পাড়ের শাড়ি পরে
জানতে চেয়েছিলাম- "কেমন লাগছে বলো তো!"
উত্তরে হেসেছিলে সামাজিক হাসি,
ডিপ্লোম্যাসির চূড়ান্ত নমুনা দেখিয়ে বলেছিলে-
"আজ আসি, কাজ আছে, সময় বড় কম!"
বাড়ি ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম-
এতো সময় জমিয়ে-কুড়িয়ে
তুমি করছোটা কি!
এতো বছর পরে, সেদিন সেই একই
পথের মোড়ে তোমাকে দেখলাম!
সময়ের ভারে ভারক্লিষ্ট তুমি,
হাটছো ও কেমন দিকভ্রান্তের মতো!
যেন অলস পথিক-গন্তব্যে পৌঁছানোর
নেই কোনো তাড়াহুড়ো-
অথবা গন্তব্যের ছলে অগন্তব্যই যার গন্তব্য এখন!
অথচ এক সময় আমার জন্য অপেক্ষা করার মতো
সময় তোমার একেবারেই ছিলো না!
তুমিই কি সে?
কৃপণের মতো সময় জমিয়ে রেখে,
কোন কর্মটা তোমার হয়েছে সারা?
শুনেছি সময়ের হাতেই বড় অসময়ে
বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছো!
আর আমি? প্রজাপতির মতোন করে
সুখ উড়ে বেড়ায় আমার ব্যালকনি জুড়ে!
চিরকালের ভালো লাগার বেতের চেয়ার পেতে
চায়ের কাপে পরিতৃপ্তির চুমুক দিতে দিতে
আমি তোমায় অসময়ের আঁধারে
মিলিয়ে যেতে দেখি!
সময় জার্নাল/এসএ