দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর দীননাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২য় বার নানা প্রজাতির ফল, ফুল, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করলেন সেই বৃক্ষ প্রেমিক বিষ্ণুপদ বিশ্বাস।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইলিয়াছুর রহমান, সদর উপজেলার এ্যাসিল্যান্ড মোঃ মাবুবুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা শেখ সেকেন্দার আলী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক মনীন্দ্রনাথ বাড়ৈ মনি, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রীবাস বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ব্যাংকার সুকদেব মন্ডল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস, সহ- প্রধান শিক্ষক দুলাল বিশ্বাস, সহ- শিক্ষক অনুপম বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ দাস, হেলেন রানী বিশ্বাস, সীমা বিশ্বাস, লাবনী বিশ্বাস, প্রকাশ দাস, নিতাই ভক্ত, রাজীব বিশ্বাস, সৈকত বিশ্বাস, চলন্তিকা বাড়ৈ, ইউ.পি সদস্য নিত্যানন্দ বিশ্বাস, রমেন্দ্রনাথ বসু, ক্ষিতিশ বিশ্বাসসহ ম্যানেজিং কমিটির বিভিন্ন সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় প্রতিদিনই কোননা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা লাগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নিজ উদ্যোগে গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী স্কুল এবং মাদ্রাসায় সারা বছর বিনা মূল্যে গাছের চারা রোপন করে যাচ্ছেন তিনি।
এ পর্যন্ত জেলার প্রায় ৮০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা রোপন করেছেন বলে জানিয়েছেন বিষ্ণু পদ বিশ্বাস।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, তিনি একজন সামাজিক, সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি। একাধারে কবি ও সাহিত্যিক। ভালো মনের মানুষ হিসাবে তার বিশেষ পরিচিতি আছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ লাগিয়ে সবুজের সমারোহে গোপালগঞ্জ জেলাকে অপার সৌন্দর্যে ভরিয়ে দিতে চান তিনি।
প্রধান শিক্ষক জানান, আমাদের বিদ্যালয়েও তিনি অনেক প্রকার গাছের চারা রোপন করেছেন। গাছগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে, দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। বিষ্ণুপদ বিশ্বাসের বাড়ি কাশিয়ানি উপজেলার তালতলা গ্রামে। তার পিতার নাম বিনোদ বিহারী বিশ্বাস, মাতা সুনীতি বিশ্বাস। স্ত্রী অনিমা রানী রত্ন, কোটালিপাড়া
কমলকুঁড়ি বিদ্যানিকেতন (মাধ্যমিক) স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা। একমাত্র মেয়ে সপ্তম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী অবন্তী বিশ্বাস।
সময় জার্নাল/এমআই