বুধবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
ইসাহাক আলী। নাটোর: নাটোরে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত উপ-পরিদর্শক খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে আটকের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ তারেক জুবায়ের। তিনি বলেন, ‘পুলিশের একটি টিম মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে এবং অভিযুক্ত সুমা বেগমকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে যা সামনে আসবে সেভাবেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন সবার জন্য সমান।’
নির্যাতনের শিকার শ্যামলী (১২) নাটোর সদর উপজেলার পাইকোরদল গ্রামের মন্জিল হোসেনের মেয়ে।
জানা যায়, বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযুক্ত সুমি বেগম গৃহকর্মী শ্যামলীকে বাবা-মা’র সাথে দেখা করাতে গ্রামের বাড়ি পাইকোরদল নিয়ে যায়। এ সময় শ্যামলীর আত্বীয়-স্বজন তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। টানা তিন বছর ধরে চলা নির্যাতনের কথা তুলে ধরলে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগম এবং শ্বাশুড়ি দিলারা বেগমকে আটক করে পুলিশ খবর দেয়। পরে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই নাটোর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শ্যামলীর মা নার্গিস বেগম।
গৃহকর্মী শ্যামলী জানায়, ‘কাজে একটু ভুল করলেই তাকে প্রচুর মারধর করা হতো। জোরে কান্না করলে আরও বেশি মারা হত। গরম খুনতি দিয়ে তাকে ছ্যাকা দেয়ার মতো নৃশংস নির্যাতন করা হতো বলে জানায় সে।’
সময় জার্নাল/আরইউ