বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙে কিছু মানুষ মিডিয়ায় ছবি দিচ্ছে

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙে কিছু মানুষ মিডিয়ায় ছবি দিচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গৃহহীনদের বিনামূল্যে দেওয়া আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে মিডিয়াতে অপপ্রচারের অভিযোগ করে বলেছেন, গরিবের ঘরে এরা হাত দেয় কিভাবে? তিনি বলেন, তদন্তে এসব কাজে জড়িতদের নাম বেরিয়ে এসেছে এবং পুরো রিপোর্টটাই তার কাছে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার আজ সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীর সম্পদ ধ্বংসকারী কতিপয় মানুষের মনোবৃত্তিকে ‘জঘন্য’হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, সব থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমরা যখন ঠিক করলাম যে, প্রত্যেকটা মানুষকে ঘর করে দেব, আমি কয়েকটা জায়গায় দেখলাম ঘর ভেঙ্গে পড়ছে, বিভিন্ন জায়গার এমন ছবি দেখার পর সার্ভে করালাম কোথায় কি হচ্ছে। প্রায় দেড় লাখ ঘর আমরা বিভিন্ন এলাকায় তৈরি করে দিয়েছি। কিছু মানুষ হাতুড়ি শাবল দিয়ে ঘর ভেঙে তারপরে মিডিয়ায় ছবি তুলেছে। এদের নাম-ধাম তদন্ত করে সব বের করা হয়ে গেছে। আমার কাছে পুরো রিপোর্টটা আছে।

প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, সেই ঘরগুলো এভাবে যে ভাঙতে পারে, ছবিগুলো দেখলে দেখা যায়। আর যেসব মিডিয়া এগুলো ধারণ করে আবার প্রচার করে সেটা কিভাবে হলো (ঘর ভাঙলো) সেটা কিন্তু তারা (প্রচার) করছে না। এক জায়গায় যেমন ৬০০ ঘর করা হয়েছে, সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাতে মাটি ধসে কয়েকটা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ৯টা জায়গায় কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু অন্যত্র আমি দেখেছি প্রত্যেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, তার সরকারের ইউএনও এবং ডিসিসহ সরকারি কর্মচারীদের ওপর এগুলোর তদারকির দায়িত্ব ছিল। যাদের অনেকেই এগিয়ে এসেছেন এই ঘর তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য। অনেক অল্প পয়সায় ইট সরবরাহ করেছেন। এভাবে সবার সহযোগিতা এবং আন্তরিকতাটাই বেশি। কিন্তু এরমধ্যে দুষ্ট বুদ্ধির কিছু (অসাধু চক্র) এবং সেটাই সব থেকে কষ্টকর।

শেখ হাসিনা বলেন, যখন এটা গরিবের ঘর তখন এখানে হাত দেয় কিভাবে। যাহোক আমরা সেগুলো মোকাবিলা করেছি তবে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এ ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকা দরকার। এ ধরনের ঘটনা দেখা বা জানার পরে স্থানীয় যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগ নেতারা সরজমিনে গিয়ে তদারকি করছেন এবং তাকে ছবি পাঠাচ্ছেন।

বাসস

সময় জার্নাল/এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল