মুরাদ ইমাম কবির। হিলি প্রতিনিধি : প্রায় ৩০ বছর পর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার প্রতিবন্ধী শরিফুল ইসলাম মারুফ। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মারুফের হাতে ভোটার তালিকার অনলাইন কপি হস্তান্তর করেন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহজাহান মানিক।
জন্মের দেড় বছর পরেই ধান সেন্ধ করা চুলাতে পড়ে মারুফের দুটি হাত পুড়ে গিয়েছিল এবং মুখের কিছু অংশও পুড়ে যায়। শরিফুল ইসলাম মারুফ উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আসাদ আলীর ছেলে।
প্রবিন্ধীদেরকে পূর্ণবাসন এবং সহযোগীতায় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিলেও, জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) এবং জন্মনিবন্ধন কার্ড না থাকায় সরকারী কোন সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগীতা পায়নি এই প্রতিবন্ধী মারুফ। বয়স প্রমানে টিকারকার্ড এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন কাগজ না থাকায় জন্ম নিবন্ধনের কার্ডও সে করতে পারেনি।
পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া দুটি হাতের আঙ্গুল না থাকায় এবং মুখের অনেকাংশ পুড়ে যাওয়ায় চোখের আইরিস স্ক্যানের জটিলতায় ভোটার তালিকাতেও ছিল না তার কোন অস্তিত্ব। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা ৩০ বছর বয়সী এই মারুফ জন্মগত ভাবে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও, কাগজে কলমে নাগরিকত্বের কোন প্রমান ছিল না তার।
সম্প্রতি এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মারুফকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ শুরু করে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে ভোটার তালিকায় যুক্ত করে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়াও ভোটার তালিকার সূত্র ধরে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মারুফের হাতে জন্মনিবন্ধন সনদ তুলে দিয়েছেন ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পেরে খুশি মারুফ। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
সময় জার্নাল/আরইউ