সময় জার্নাল প্রতিবেদক। কোভ্যাক্স–সুবিধার আওতায় নতুন করে ৭১ লাখ ডোজ ফাইজার ও ১৮ লাখ ডোজ মডার্নাসহ মোট ৮৯ লাখ ডোজ টিকার বরাদ্দ পেয়েছে বাংলাদেশ। বরাদ্দ পাওয়া এই টিকা চলতি বছরের শেষ দিকে পাওয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাঁর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র অনুযায়ী কোভ্যাক্স–সুবিধার আওতায় দুটি উৎস থেকে বাংলাদেশ এই টিকা পাবে। একটি যুক্তরাষ্ট্রের দান। অন্যটি নিয়মিত কোভ্যাক্স বরাদ্দ। একই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ আরও টিকা পাবে বলে শাহরিয়ার আলম আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে নতুন করে টিকা বরাদ্দ দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কোভ্যাক্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩০ আগস্ট সংসদে বলেন, এখন পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) ২৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত রোববার পর্যন্ত হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত টিকা এসেছে ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮০ ডোজ।
সরকার দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে করোনার টিকার আওতায় আনতে চায়। এ জন্য দুই ডোজ করে ২৬ কোটি টিকা লাগবে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য কোভ্যাক্সের বরাদ্দ থেকে বাংলাদেশের ৬ কোটি টিকা বিনা মূল্যে পাওয়ার কথা।
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ১০ কোটি টিকা কেনা হচ্ছে। চীন থেকে সরাসরি কেনা হচ্ছে সাড়ে ৭ কোটি ডোজ সিনোফার্মের টিকা। এ ছাড়া ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা বাবদ পাওয়ার কথা ৩ কোটি ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। এর বাইরে উপহারের টিকা রয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সাড়ে ২৭ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া নিশ্চিত করেছে।
এসজে/আরইউ