বুধবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে পদ্মা নদী সংরক্ষণ বাঁধে সিসি ব্লকে ধ্বস দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার ডিক্রির চর ইউনিয়নের পদ্মা নদী সংরক্ষণ বাঁধের প্রায় ৭০ ফুট অংশের সিসি ব্লক ধ্বসে গেছে। সোমবার(২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ও মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর) রাতে দুই দফা ভাঙ্গনে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তীর সংরক্ষণ বাঁধ। এই ভাঙ্গনের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিক্রির চর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ওবায়দুলের বাড়ি সংলগ্ন তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধ্বস শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। বুধবার(২২ সেপ্টেম্বর) জরুরী ভাবে ভাঙ্গনের ব্যাপকতা প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে।
এদিকে পদ্মা নদীর অপরপাড়ে বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নদীর স্বাভাবিকতা না থাকায় প্রতি বছরই বাড়ি ঘর ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ৩০ বছরে ফরিদপুরের মানচিত্র থেকে ডিক্রির চরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, বসতি ও কৃষি জমি হারিয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য পরিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে কোনমতে বাস করছে। ক্ষতিগ্রস্থ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসীর দাবি, আমরা চাই উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হোক।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রথমে স্থানীয় এলাকাবাসী ধ্বংসের ঘটনাটি আমাকে জানান। তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়। ওই রাতেই কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয় এবং বুধবার থেকে ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী ভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনের গভীরতা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদীর ঐ পাড়ের ভাঙ্গনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা তো নদী থেকে জেগে উঠা বালু চর এখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে কোন লাভ হবে না। পরবর্তীতে অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রকল্প গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সময় জার্নাল/ইএইচ