বিনোদন ডেস্ক:
‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর বিচারক অনু মালিকের বিরুদ্ধে মিটু অভিযোগ তোলা গায়িকা সোনা মহাপাত্র বলেছেন, দুনিয়ার সব পুরুষই কিন্তু ধর্ষক নন। তাহলে তো সব নারীকেই নির্যাতিতা বলতে হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
দেশে-বিদেশে যখন পারিবারিক সহিংসতা, নারী নির্যাতন আর ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে তখন বলিউডের মিঠেকণ্ঠের এই গায়িকা তার সংসার জীবন নিয়ে জানালেন, দাম্পত্য জীবনে তাকে কখনো পুরুষতন্ত্রের শিকার হতে হয়নি।
তিনি বলেন, আমি খুবই ভাগ্যবান। রাম ভীষণ সচেতন একজন মানুষ। সে বরং বিশ্বের সমস্ত খারাপ পুরুষের পাপের দায়ভার নিয়ে বসে। আমার চিন্তা হয় ওর জন্য। ওর মধ্যে অহং নেই বলেই মানুষের কুমন্তব্য কানে নেয় না। রাম আমার থেকে বেঁটে, তাই ট্রোল করা হয়েছে ওকে। কিন্তু ও কোনও দিন এ সব নিয়ে মাথা ঘামায়নি। শুধু কাজ নিয়ে ভাবে রাম। সঙ্গীত নিয়ে সময় কাটে ওর।
অনু মালিকের বিরুদ্ধে মিটু অভিযোগ তোলার পরেও তাকে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর বিচারকের আসনে নিয়ে আসার বিষয়ে সোনা বলেন, বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারিনি। আমি আওয়াজ তুলেছি। প্রতিবাদ জানিয়েছি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। সেই মানুষটিকে কেউ তার জায়গা থেকে টলাতে পারেনি। কেউ এগিয়ে আসেনি, আমার কাঁধে কাঁধ মেলায়নি।
তিনি বলেন, অনু মালিকের বিরুদ্ধে আমি যে প্রচার চালাচ্ছিলাম, সেটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নানা প্রস্তাব আসতে থাকে আমার কাছে। তাও সে সব পাত্তা দিইনি। অনু মালিকের কারণে মানসিক অবসাদে আমার শরীরের ওজন বেড়ে গিয়েছিল। গোটা দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে ফেলেছিলাম। পরে মনে হলো, এই লড়াই তো আমার একার নয়। গোটা ভারতের লড়াই।
‘বাহারা’ কিংবা ‘আম্বারসারিয়া’র মতো তুমুল শ্রোতাপ্রিয় গানের এই গায়িকা বলেন, আমি ৪৮ জন নারীর সঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছি, তারা প্রত্যেকেই নির্যাতিতা। তাদের যারা নির্যাতন করেছেন, সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন গায়ক কৈলাস খের এবং সুরকার অনু মালিক।
সময় জার্নাল/এমআই