বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কেমন আছেন টাইটানিক সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৭, ২০২১
কেমন আছেন টাইটানিক সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা

বিনোদন ডেস্ক: টাইটানিক সিনেমার কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। এই সিনেমা দেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। এই সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা জাহাজ ডুবির শিকার হলেও তবে বাস্তবে হলিউডের মতো কঠিন জায়গায় সম্মানের সাগরে ভেসেছিলেন। জেমস ক্যামেরন নির্মিত ‘টাইটানিক’ সিনেমাটি ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়। এই ডিসেম্বরে ২৪ পূর্ণ করে ২৫-এ পা দেবে ‘টাইটানিক’। ২৪ বছর পরও দর্শকদের কাছে তারা সমান জনপ্রিয়। এতো দিন পর কেমন আছেন তারা?

টাইটানিক সিনেমায় রোজ ডিউইট বুকাতার চরিত্রে দেখা গেছে অভিনেত্রী কেট উইন্সলেটকে। টাইটানিকে অভিনয়ের পর ১২ বছরে ছয়টিটি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন কেট। হলিউডে তিনিই কনিষ্ঠতম অভিনেত্রী যিনি ৩৩ বছর বয়সে ছয়টি অস্কার মনোনয়ন পান। এমনকি আন্তর্জাতিক সিনেমায় চারটি বিখ্যাত পুরস্কার এমি, গ্র্যামি, অস্কার এবং টনি জেতার রেকর্ড রয়েছে কেটের। তবে ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তিতে ছিলেন দীর্ঘদিন। ২০০৮-এ থিতু হন। এখন প্রিয় মানুষকে বিয়ে করে সন্তানদের নিয়ে সাসেক্সের এক বাংলোয় থাকেন কেট। সুখী জীবন।

‘টাইটানিক’ সিনেমায় জ্যাক ডসন চরিত্রে পর্দা ভাগাভাগি করেছেন অভিনেতা লিওনার্দো দিক্যাপ্রিও। কেটের মতো লিওনার্দোরও উত্থান টাইটানিক থেকে। টাইটানিকে তার চরিত্রটি মুহূর্তে দর্শকদের মন কেড়ে নেয়। টাইটানিকে জনপ্রিয়তা পেলেও সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাননি এটা যেমন ঠিক, তেমন এটাও ঠিক যে টাইটানিকের পর অজস্র ভাল সিনেমায় অভিনয় করেছেন লিও। তার অধিকাংশ হিট। একই সঙ্গে সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত। তবে অস্কারের খরা কাটছিল না। শেষে ২০১৬ সালে টাইটানিকে অভিনয়ের ১৯ বছর পর ‘দ্য রেভেন্যান্ট’ ছবির জন্য অস্কার আসে লিওর হাতে। বিয়ে করেননি। ২০১৭ সাল থেকে তার সঙ্গিনী এক আর্জেন্টিনা-আমেরিকান মডেল। নাম ক্যামিলা মোরোন। দু’জনেই লস অ্যাঞ্জেলেসের পার্ক সিটিতে একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন।

‘টাইটানিক’ সিনেমায় মলি ব্রাউন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ক্যাথি বেটস। টাইটানিকে যখন তিনি অভিনয় করছেন, তার আগে বেশ কিছু টিভি সিরিজে অভিনয় করে ফেলেছেন ক্যাথি। তবে টাইটানিক তাকে জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। কুলীন, নাক উঁচু ধনীদের ভিড়ে হঠাৎ বড়লোক হওয়া এবং কোনও কিছুর পরোয়া না করা চরিত্রটি দর্শক পছন্দ করেছিলেন। একটি দৃশ্যে জ্যাকের মায়ের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাকে। একটি দৃশ্যে অভিনয় করেও মন জিতেছিলেন ক্যাথি। তবে জনপ্রিয়তা বেশি দিন উপভোগ করতে পারেননি। প্রথমে জরায়ুর ক্যান্সার, পরে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ৯ বছরের মাথায় দু’বার ক্যান্সারের চিকিৎসা হয় তার। দুটি স্তনই বাদ দিতে হয়। চিকিৎসার ধকল তার শরীর নিতে পারেনি। স্তন বাদ দেওয়ার পর দু’টি হাত অকেজো হয়ে যায় ক্যাথির।

‘টাইটানিক’ সিনেমায় ক্যাল হকলি চরিত্রে নিজেকে হাজির করেছেন অভিনেতা বিলি জেন। টাইটানিকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ক্যাল। খলনায়ক। তবে চেহারাটি নায়ককে টেক্কা দেওয়ার মতো। টাইটানিকে অভিনয়ের পর বেশ কিছু ভাল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিলি জেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে দীর্ঘদিন থিতু হতে পারেননি। একের পর এক সুন্দরী অভিনেত্রী তার প্রেমে পড়েছেন। তবে সেই প্রেম টেকেনি। ২০১৪ সালে ক্যান্ডিস নেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। বিয়ে করেননি। বিলি এবং ক্যান্ডিস এখন দুই কন্যার বাবা-মা।

‘টাইটানিক’ সিনেমায় রুথ ডিউইট বুকাতার চরিত্রে দেখা গেছে অভিনেত্রী ফ্রান্সেস ফিশারকে। টাইটানিকের নায়িকা রোজের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফ্রান্সেস। চরিত্রটি দর্শকদের অপছন্দের। তবে ফ্রান্সেসের অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল। তার প্রমাণ টাইটানিকের পর একের পর এক ছবি ফ্রান্সেসের হাতে আসা। হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা এবং পরিচালক ক্লিন্ট ইস্টউডের প্রেমিকা। আবার হলিউডের অন্যতম সুদর্শন অভিনেতা জর্জ ক্লুনির সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালে নিজেকে ‘যৌনতায় আগ্রহী নয়’ বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে বাধ্য হন ফ্রান্সেস।

‘টাইটানিক’ সিনেমায় ক্যাপটেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বার্নার্ড হিল। জাহাজের সঙ্গে নিজেকে সলিল সমাধি দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জেমস স্মিথ। বার্নার্ড হিল টাইটানিকের পর ‘লর্ড অফ দ্য রিংস’ সিরিজের তিনটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। পরে অবশ্য টিভিতে ফিরে আসেন।

‘টাইটানিক’ সিনেমায় থমাস অ্যান্ড্রু চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরেছেন অভিনেতা ভিক্টর গারবের। টাইটানিকের নকশাকারের চরিত্র। সুদর্শন, বিনয়ী, আদবদুরস্ত। ভিক্টরের চরিত্র নজর কেড়েছিল। বহু নারী ভক্তও তৈরি হয়েছিল তার। তবে ২০১২ সালে তারা কিছুটা আশাহত হন। নিজেকে প্রকাশ্যে সমকামী বলে ঘোষণা করেন গারবার।

‘টাইটানিক’ সিনেমায় বৃদ্ধা রোজ চরিত্রে দেখা দিয়েছেন অভিনেত্রী গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট। টাইটানিকে যখন অভিনয় করেছিলেন, তখন বয়স ৮৭। ওই বছরেই অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন গ্লোরিয়া। তিনিই অস্কার মনোনীত প্রবীণতম অভিনেতা। ২০০৪ সালে শেষ ছবি করেন। তার ছয় বছর পর ১০০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় গ্লোরিয়ার।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল