সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
নানা আয়োজনে রোববার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। এবছরের প্রতিপাদ্য "অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য"। মানসিক রোগ বিভাগের আয়োজনে দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে সকাল ৯.০০টায় কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এরপরই 'বর্ণাঢ্য র্যালী' এবং 'আলোচনা সভা' অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ আলম , চেয়ারপার্সন ছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নুরুল হুদা লেলিন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি: জে: কাজী মো. ডা. রশীদ উন নবী ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ এবং মানসিক রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. শোয়েবুর রেজা চৌধুরী।
প্যানেল অফ এক্সপার্ট হিসাবে ছিলেন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আহমেদ হোসেন, গাইনী বিভাগের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আফরোজা কুতুবী ও শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আব্দুর রউফ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মানসিক রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রশিদুল হক। এতে তিনি তুলে ধরেন, কোভিড মহামারীতে বিশ্ব কিভাবে অসম হয়েছে ও হচ্ছে। অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য কিভাবে ব্যহত হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া প্রদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
মাননীয় অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেলিন কোভিড মহামারীতে অসম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের অসমতা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের অসমতা দূরীকরণে বর্তমান সরকারের বাস্তবমূখী কর্মসূচি তুলে ধরেন এবং বিনামুল্যে ভ্যাকসিন প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা ও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। ফলে বাংলাদেশ অনেক দেশের পূর্বেই ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করে এবং ১৭ কোটি মানুষের কেউ যেন ভ্যাকসিনের আওতার বাহিরে না থাকে সে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ উল্লেখ করেন।
সচেতনতা বৃদ্ধি, মানসিক স্বাস্থ্যে বাজেট বৃদ্ধি ও মানসিক বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সিল সেবা বৃদ্ধির উপর জোর দেন অন্যান্য আলোচকবৃন্দ।
অসমতা দূরীকরণের মাধ্যমেই সুসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করা সম্ভব বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
সময় জার্নাল/ইএইচ