নিজস্ব প্রতিবেদক: পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল ও চিনির শুল্ক কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নিত্যপণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়।
সভার শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি পণ্যের (ভােজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ ও মশুর ডাল) আন্তর্জাতিক মূল্যের প্রভাবে স্থানীয় বাজারে ঊর্ধ্বমূল্য পরিলক্ষিত হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বর্তমানে জনস্বার্থে পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার এবং অপরিশােধিত সয়াবিন, অপরিশােধিত পাম ও অপরিশােধিত চিনির শুল্ক কমাতে এনবিআরকে অনুরােধ করা হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজের কোয়ারেন্টাইন পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করে আইপি ইস্যুকরণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরােধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন দু’টি টিম ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বাজার মনিটরিং করা হয়। সারাদেশে জেলা-উপজেলায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নের্তৃত্বে এবং ভােক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহায়তায় বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।
বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলােকে ও সর্বোপরি পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। টিসিবি সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন (মাসে ২০ থেকে ২৫ দিন) সারাদেশে ৪০০ ট্রাকে ৪০০ থেকে ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রয়ােজনে ট্রাক প্রতি পেঁয়াজ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
এছাড়া পেঁয়াজের সঙ্গে অন্যান্য পণ্য (চিনি, সয়াবিন তেল ও মশুর ডাল) নিয়মিত বিক্রি করছে টিসিবি। টিসিবি ঢাকাতে ৮০ থেকে ৯৫টি ট্রাকের মাধ্যমে ট্রাকসেল নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে ভারত ও তুরস্ক থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এরই মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। যা থেকে বর্তমানে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ক্রয় করা আরও পেঁয়াজ সংগ্রহের জন্য পাইপ লাইনে রয়েছে।
বাজারদর বিবেচনায় টিসিবির মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় পরিমাণ পেঁয়াজ ক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। সেইসঙ্গে মন্ত্রণালয়য়ের নির্দেশক্রমে ভারত ব্যতিত পেঁয়াজের বিকল্প উৎস খোঁজার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সময় জার্নাল/এলআর