ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিবেদক:
নাটোরে নিজ বাগানের গাছ কাটা বাঁধা দিতে গিয়ে হাসুয়ার কোপে মারাত্বক জখম এক যুবক মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। ঘটনার দিন একজন আটক হলেও অন্যান্য আসামীরা প্রকাশ্যে আহত তারেক ও তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। তবে সরেজমিনে গিয়ে বাদী ও আসামীরা দুপক্ষই বিবাদমান জমিটিকে নিজেদের বলে দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয় , বড়াইগ্রামের রোলভা গ্রামে বিবাদ মান একটি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে আয়ুব আলী ও হামজু পরিবারের মধ্যে। আয়ুব আলীর পরিবার ওই জমিতে মেহগনি, আম, সুপারিসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন করে। গত ১৩ অক্টোবর হামজু তার ছেলে রবিউল, রুহুল আজাদুল, রাশিদাসহ ১৫/২০ সেই গাছগুলো কাটতে থাকে তাই দেখে তারা বাধা দিতে গেলে পূর্ব থেকে প্রস্তুত থাকা তাদের হাসুয়ার কোপে তারেক মারাত্মক আহত হয়।
এ সময় অন্যরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ দেশিয় অস্ত্রে আক্রমণ করে হামজু সমর্থকরা। পরে আহত তারেককে প্রথমে বড়াইগ্রাম ও পরে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ রবিউলকে আটক করে। পরে ৭জনকে আসামী করে তারেকের বাবা মামলা করলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে আয়ুবের সন্তান ও স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে আয়ুব আলীর স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন জানান, তাদের সন্তান তারেক এখনো হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আর আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি মামলা তুলে নিতে ও জায়গা দখল করতে তারা নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে জানান তারা।
এদিকে এ ব্যাপারে হামজুর পরিবারের লোকজন জানান, আয়ুব আলী জায়গাটি নিজের বলে দাবি করে সেখানে গাছ লাগালেও পরে দলিলপত্র ও রেকর্ড মূলে জায়গাটি তাদের বলে প্রমাণিত হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ গ্রাম্য প্রধানরা উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে জায়গা মেপে সীমানা পিলার পুতে দেয়। পরে সেই জমিতে আমরাও গাছ রোপন করি। ওই দিন তারা সেই সব গাছ কেটে ফেলতে থাকে আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় তাদের নিজের লোকজনের ছুঁড়ে দেয়া হাসুয়ায় তারেক আহত হয়। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।
এছাড়া তারা বাদী পক্ষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বলে দাবি করেন। এ সময় বাড়িতে শিশু ও নারী ছাড়া তেমন কোন পুরুষ মানুষকে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান,বাকি আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে। এলাকার পরিস্থিতিও শান্ত রয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর