গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আটকা পড়েছে ৩ শতাধিক পর্যটক। একই সঙ্গে নিজস্ব প্রয়োজনে টেকনাফ এসে দ্বীপে ফিরতে পারেনি ১ শত স্থানীয় বাসিন্দা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে গতকাল রবিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে সার্ভিস বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে ।
আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তারপরও ট্রলার এবং স্পীডবোটে ঝুঁকিপূর্ণ পর্যটকরা গোপনে ছুটে যাচ্ছেন সেন্টমার্টিনে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়া সাগর উত্তাল। ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি মাঝে মাঝে হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে বন্ধ রয়েছে ট্রলার ও স্পীডবোট চলাচল। ফলে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছেন পর্যটকরা। একই সঙ্গে নিজস্ব প্রয়োজনে টেকনাফ এসে দ্বীপের ১ শত মানুষকে দ্বীপে ফিরতে পারেননি।
আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানালেন, আটকে পড়া পর্যটকদের সবধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টেকনাফ পাঠানো হবে। আর টেকনাফে আটকা পড়ারা দ্বীপে ফিরতে পারবেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, মৌসুম না হলেও নিজস্ব নিরাপত্তায় কয়েকশ পর্যটক সেন্টমার্টিন গেছেন বলে খবর পেয়েছি। বৈরী আবহাওয়ায় আটকা পড়ার পরই এটি প্রচার পেয়েছে। আমরা পর্যটকদের খোঁজ-খবর নিয়েছি এবং নিরাপদে থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের আধিক্যের পার্থক্য থাকায় চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বায়ু চাপের আধিক্যের পার্থক্য থাকায় সাগর উত্তাল এবং ঝড়ো হাওয়াসহ কক্সবাজারে বৃষ্টি হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর