তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি : আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন ও ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ উদযাপন করেছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে কেক কাটে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে কলেজ প্রাঙ্গনে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানো হয়।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে সাড়ে ১১টায় তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কলেজটির অর্ধশত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
এছাড়া কলেজের বিজ্ঞান ভবনের নিচতলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
এরপর দুপুরে কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেয় কলেজ ছাত্রলীগ।
এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আশরাফ হোসেন, উপাধ্যক্ষ মোছা. তালাত সুলতানা, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এস.এম. কামাল উদ্দিন হায়দার প্রমুখ।
এদিন দুপুরে যোহরের নামাজের পর তিতুমীর কলেজের মসজিদে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণে দোয়ার আয়োজন করে কলেজ ছাত্রলীগ। এরপর প্রায় দু'শো ক্ষুধার্তদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। এতে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেতৃত্ব দেন।
মুজিববর্ষের আয়োজন নিয়ে কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়ল বলেন, আজ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ। আমরা ইতোমধ্যে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ক্ষুধার্তদের খাদ্য বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ সর্বদা মুজিব আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ দেশের সকল উন্নয়নমূলক কাজের পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা শেখ সায়েরা খাতুন। লুৎফর-সায়েরা দম্পতির এ সন্তানই পরে এদেশের মানুষের মুক্তির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন।
সময় জার্নাল/এমআই