নোয়াখালী প্রতিনিধি : জেলার বেগমগঞ্জ থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদারকে বদলি করা হয়েছে। উপজেলার চৌমুহনী বাজারে পূজামণ্ডপ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও দুইজন নিহতের ঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তার প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম পিপিএম প্রেরিত এক চিঠিতে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদারকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।এর আগে, কামরুজ্জামান শিকদারকে বদলির অনুমতির জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কারণে বেগমগঞ্জ মডেল থানা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম পিপিএম জানান, মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদারকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশে বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় মীর জাহেদুল হক রনিকে পদায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চৌমুহনী শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা চৌমুহনী ডিবি রোড (ফেনী-নোয়াখালী সড়ক), কলেজ রোড, ব্যাংকিং রোড ও দক্ষিণ বাজার গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মণ্ডপ, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ চালায়। এ ঘটনায় নিহত হন যতন সাহা (৪১) ও প্রান্ত চন্দ্র দাস (২৬)। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পক্ষ থেকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বেগমগঞ্জ থানার ওসির প্রত্যাহার দাবি করা হয়।
সময় জার্নাল/আরইউ