আব্দুল্লাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় আটকে রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় কাদের মির্জার রোষানলের শিকার মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারী এন্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রির মালিক আবদুল ওহাব (৫২) ও তার পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের জুবলি রোডের মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারী এন্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রিতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব অভিযোগ করে বলেন, তার পৈত্রিক ক্রয়কৃত ৪শতকের জায়গার ওপর (মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারী এন্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রির) ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। এতে ১৫জন কর্মচারী কাজ করে। দীর্ঘদিন থেকে তিনিও তার পরিবারের লোকজন ওবায়দুল কাদের নির্বাচন ও কাদের মির্জার নির্বাচনে কাজ করেছেন। তারা পুরো পরিবার আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। কিছু দিন আগে কাদের মির্জা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খাস জায়গায় বলে অভিযোগ তুলেন। এরপর হঠাৎ করে গত ১৫ থেকে ২০দিন আগে কাদের মির্জা লোকজন নিয়ে এসে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারপর ৪দিন পর ডেকে নিয়ে চাবি দিয়ে দেয়। আমাদের জায়গার সকল কাগজ পত্র ঠিক রয়েছে। কিন্তু রেকডের্র সময় ভুলে আমাদের নামটি বাদ যায়। তখন আমরা রেকর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করি। এ নিয়ে গত ৪-৫ বছর রেকর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। এসব কাগজ পত্রও আমরা পৌরসভায় জমা দিয়েছি।
ওহাব অভিযোগ করে আরো বলেন, আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কাদের মির্জা দোকানে এসে আমাকে ঘুষি মেরে তার অনুসারীদের আমাকে উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার দোকান থেকে আমাকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ঘন্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে একটি ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আমার থেকে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার সময় আমাকে জানানো হয় এতে কোন সমস্যা হবেনা। পরে স্ট্যাম্পের বিষয়ে আমার সাথে কথা বলা হবে। ওহাব জানান, এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিক আইনগত কিছু করার নেই। ভেবে চিন্তে তিনি পরে এ বিষয়ে সিন্ধান্ত নিবেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৬টা পর্যন্ত একাধিকবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে কল করা হলে ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আবুুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
সময় জার্নাল/এলআর