মো মাইদুল ইসলাম: মনে হচ্ছে বাবার বাড়িতে ফিরে আসলাম। দীর্ঘদিন পর হলে ফিরে এমন অনুভূতি ব্যাক্ত করছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের সুফিয়া কামাল হলের এক শিক্ষার্থী। আজ সকাল থেকেই হলে প্রবেশ করতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তাদের এতদিন পর পেয়ে বরণ ডালা সাজিয়ে ছিল হল প্রশাসনও।
দীর্ঘ ১৯ মাস পর আজ খোলা হয় সরকারি তিতুমীর কলেজের আককাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাস ও সুফিয়া কামাল ছাত্রীনিবাস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক শিক্ষার্থীদের ফুল, চকোলেট ও মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়। হলে ফিরতে পেরে শিক্ষার্থীদেরও আনন্দ মুখর দেখা গেছে।
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে উঠানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আগে এক রুমে ৭ জন করে থাকলেও এখন এক রুমে থাকবে ৪ জন করে। অনার্স ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান থাকায় এদিন শুধুমাত্র এসকল বর্ষের শিক্ষার্থীরাই হলে উঠতে পেরেছে।
এতদিন পর শিক্ষার্থীদের পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন সুফিয়া কামাল হলের দায়িত্বে থাকা দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, এটাই আমাদের জীবন, প্রিয় প্রাঙ্গণ এখানে শিক্ষার্থীরা সবসময় থাকবে। এখানে আমাদের পদচারণা সবসময় থাকবে। আল্লাহর কাছে আমার হাজার শুকরিয়া আমারা আবার ফিরে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন যাদের হলে উঠানো হয়েছে পরীক্ষা শেষে তাদের পাঠিয়ে দেয়া হবে এবং চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হলে তাদেরকে হলে উঠানো হবে।
আককাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাসের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমে তিতুমীর কলেজ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। হলের পরিবেশ আগের চেয়ে সুন্দর হয়েছে, অবকাঠামো ও উন্নত করা হয়েছে।
তবে এ শিক্ষার্থী জানান অনেক দিন বন্ধ থাকায় কিছু কিছু রুমে ফ্যান নেই। এসকল সমস্যাগুলো সংস্কারের দাবিও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, তিনটি শর্ত পূরণ করে হলে উঠতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
১/ নূন্যতম এক ডোজ টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের সনদ হোস্টেল তত্ত্বাবধায়কের নিকট জমা দিয়ে হলে উঠতে হবে।
২/ অনার্স ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান থাকায় শুধুমাত্র এসকল বর্ষের শিক্ষার্থীরাই হলে উঠতে পারবে।
৩/ সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে বৈধ আবাসিক ছাত্ররাই নির্দিষ্ট সংখ্যক সিট সাপেক্ষে হলে অবস্থান করবে।
এমআই