নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনে অতিদ্রুত সশরীরে শ্রেণী কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসেই টিকাকেন্দ্র খোলার ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দীর্ঘ ১৯ মাস পর আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে খুলে দেয়া হবে নোবিপ্রবির আবাসিক হল। কিন্তু সশরীরে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি প্রশাসন। অতিদ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে টিকাকেন্দ্র খোলার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার ও কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাবের তত্ত্বাবধানে টিকা কেন্দ্র পরিচালনা করা হবে।
নোবিপ্রবি কোভিড-১৯ ল্যাবের ফোকাল পয়েন্ট ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, "যেসব শিক্ষার্থী নোয়াখালী জেনারেল হসপিটাল কেন্দ্রে রেজিষ্ট্রেশন করে এখনো টিকার একটি ডোজও পায়নি এবং ইতিপূর্বে অন্য কোথাও টিকার জন্য আবেদন করেনি শুধুমাত্র তারাই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালকে নির্বাচন করে ক্যাম্পাসের টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবে’’।
তিনি আরো বলেন, "২৬ অক্টোবর থেকে এই কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচী চালু হবে। এতে নোবিপ্রবি মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার ও নার্সের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হবে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে থাকবে নোবিপ্রবি বিএনসিসির ১০ জন ক্যাডেট। ২৬ অক্টোবরের আগেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে"।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অঃদাঃ) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত নোটিশ অনুযায়ী, "সুরক্ষা এপ দিয়ে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশনে টিকার কেন্দ্র হিসেবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নির্বাচন করে রেজিস্ট্রেশন করেছে (এসএমএস পায়নি) ও টিকা নেয়নি তাদের ১ম ডোজ এবং যারা ১ম ডোজ নিয়েছে তাদের ২য় ডোজ নোবিপ্রবি কেন্দ্রে দেওয়া হবে’’।
যেসব শিক্ষার্থী নোয়াখালীর বাইরের কেন্দ্রে টিকার রেজিষ্ট্রেশন করেছে তাদের এই কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার সুযোগ নেই বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদানকৃত প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নিজ নিজ জেলার সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
নোবিপ্রবি মেডিক্যাল সেন্টারের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন টিকাকেন্দ্র প্রসঙ্গে বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমার ছাত্র-ছাত্রীরা সচেতন ভাবে নিজ উদ্যোগে এসে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করে ক্যাম্পাসে ফিরবে এটাই আমার প্রত্যাশা’’।