নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার পূজামণ্ডপে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে কোতোয়ালি থানায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ওই মামলাটি করা হয়েছিল।
অন্যদিকে নানুয়া দীঘির পূজা মণ্ডপ থেকে খোয়া যাওয়া হনুমানের গদাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে এগারটার দিকে দারোগাবাড়ি মাজারের পাশে একটি ঝোঁপ থেকে উদ্ধার করা হয় গদাটি। পুলিশ জানায়, ইকবালকে সাথে নিয়ে চালানো অভিযানেই উদ্ধার করা হয় ওই গদাটি। গদাটি সে একটি ঝোঁপের মধ্যে ফেলে রেখেছিল।
এর আগে, একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হনুমানের গদা কাঁধে নিয়ে দিঘিরপাড়ে ঘোরাফেরা করছেন ইকবাল। তবে মণ্ডপে সিসিটিভি না থাকায় কোরআন রাখার চিত্র দেখা যায়নি। পুলিশের ভাষ্য, কোরআন শরিফ মন্দিরে রেখে গদা নিয়ে বের হন ইকবাল।
স্থানীয়রা জানান, নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে শুরুতে ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ইকবাল হোসেন। পরে সে চকবাজার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক মোড় ঘুরে পূজামণ্ডপের দিকে রওনা হয়। এ সময় তার সঙ্গে দুজন নৈশপ্রহরীর দেখা হয়। তাদের সঙ্গে ইকবালের কথাও হয়। এরপর ইকবাল ডিগাম্বরীতলা সড়ক দিয়ে নানুয়া দিঘির পূজামণ্ডপে প্রবেশ করে। ওই সময় সেখানে লোকজন না থাকার সুযোগ নেয় সে।
পরে সকালে একজন ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনার আট দিন পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এলাকা থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর