ইসাহাক আলী, নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যানের বিপক্ষে প্রচার প্রচারণা করার অভিযোগে প্রতিপক্ষের কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে
তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন।
সিদ্দিক উপজেলার তেমুখ নওগাঁ গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র এবং তাজপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফের কর্মী। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন সিদ্দিক।
জিডি ও স্থানীয় সূত্রে যায়, আসন্ন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামীলীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিক। গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিনের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে সিদ্দিককে কল করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন চেয়ারম্যান। এ সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসে পৌঁছেছে। কল রেকর্ডে শোনা যায় তাজপুর ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন আওয়ামী লীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ৫ মিনিট ৫ সেকেন্ডের কল রেকর্ডের এক পর্যায়ে ঐ কর্মীকে মেরে মাছ দিয়ে খাইয়ে দেয়ার হুমকিও দেন মিনহাজ।
হুমকির শিকার আহাদ আলী সিদ্দিক বলেন, মিনহাজ চেয়ারম্যান আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। বর্তমানে আমি পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমার নিরাপত্তাসহ সুবিচার চাই। তিনি এ ঘটনায় ইতোমধ্যে থানায় জিডিও করেছেন।
তবে এ ব্যাপারে তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, মুঠোফোনে হুমকি বা থানায় জিডির বিষয়ে তার কিছুই জানা নাই।
এ ব্যাপারে সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, মুঠোফোনে হুমকির ঘটনায় জিডি গ্রহণ করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মুকুল হায়দার বাবু’র মোটরসাইকেলবহরে হামলার ও মারপিটের কথাও মিনহাজ অকপটে স্বীকার করেছেন এ কল রেকর্ডে। ওই হামলায় মুকুল হায়দার বাবুসহ তাঁর পাঁচ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছিল। আহত মুকুল হায়দার তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি। আহত মুকুল হায়দারকে প্রথমে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া আওয়ামীলীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিককে
মিনহাজ উদ্দিন বলেন রক্তের ভাই বাবু মাষ্টারকেও ছাড় দেইনি। মেরে দহতে ফেলে মাছ দিয়ে খাইয়ে দেবো। ভালো হয়ে যা।
এমআই