অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ :
———————————————————
চেম্বারে প্রায় প্রতিদিন একাধিক ৩-৫ বছরের শিশু রোগী পাচ্ছি যাদের parents এর Complain হচ্ছে বাচ্চা কথা বলতে পারে না এবং অমনযোগী।
History নিলে দেখা যাচ্ছে ওদের বেশীরভাগই Android mobile এ রীতিমত আসক্ত।
শুরু হয় খাওয়ানোর জন্যই mobile এ ছবি/গান/ছড়া দিয়ে। ধীরে ধীরে অভ্যস্ততা এবং কিছুদিনের মধ্যেই আসক্তি।
মা-বাবা খুশীতে ডগমগ, আমার বাবু খুবই বুদ্বিমান, মোবাইলে এই বয়সেই নিজে নিজে সবই করতে পারে। কিন্ত তিনি জানেন না নিজের অজান্তেই তার সুন্দর শিশুটি বাক এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়ে বেড়ে উঠছে।
মানব শিশুর জম্মের ৮ বছরের মধ্যেই তার তার স্নায়ুতন্ত্রের পরিপূর্নতা আসে।
মূলত পারিপার্শ্বিক অভিজ্ঞতা তার স্নায়ুতন্ত্রকে পরিপক্ষ করে।
মোবাইলে আসক্ত শিশুরা এই সুযোগ খেকে সম্পূর্নই বঞ্চিত হয়।
ফলশ্রুতিতে শিশুরা কথা বলতে শিখে না, পারে না এবং মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে বড় হয়।
তাই মানসিক এবং শারিরীকভাবে সুস্থ শিশু পেতে হলে আজই আপনার অপরিণত বয়সের শিশুর হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ফেলুন। তার কাছে আসতে থাকা তথ্যের সকল জানালা খোলা রাখুন।
অন্যথায় এই শিশুকে নিয়ে দেখা আপনার সকল স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।
লেখক : অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ
সাবেক প্রিন্সিপ্যাল ও অধ্যাপক, পেডিয়াট্রিকস বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।